This Article is From Aug 27, 2018

নেহরু কমপ্লেক্সকে ছেড়ে দিন, মনমোহনের চিঠি মোদীকে

জওহওরলাল নেহরু মেমোরিয়াল কমপ্লেক্সের গায়ে ‘হাত’ না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি কড়া চিঠি দিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ।

নেহরু কমপ্লেক্সকে ছেড়ে দিন, মনমোহনের চিঠি মোদীকে
নিউ দিল্লি:

দিল্লির জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল কমপ্লেক্সের গায়ে ‘হাত’ না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি কড়া চিঠি দিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। অন্তত ইতিহাস ও ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখেই যে ওই ভবনটির কোনওরওকম স্থানান্তর ঘটা উচিত নয়, চিঠিতে সেই কথাও উল্লেখ করেন মনমোহন। শুক্রবার পাঠানো ওই চিঠিটিতে তিনি লেখেন, “জওহরলাল নেহরু কেবলমাত্র কংগ্রেসের নয়, তিনি গোটা দেশের”। বর্তমান সরকার একটি জাদুঘর বানানোর পরিকল্পনা করেছে। সেই জাদুঘরটির বিষয় দেশের সব প্রধানমন্ত্রী। তাঁদের ওপর ভিত্তি করেই তৈরি হবে এটি। নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম এবং লাইব্রেরি রয়েছে যেখানে, সেই তিনমূর্তি কমপ্লেক্সেই এই জাদুঘর বানানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

সদ্যপ্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর নাম চিঠিতে উল্লেখ করে মনমোহন লেখেন, “অটল বিহারী বাজপেয়ীর আমলে নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম এবং লাইব্রেরি ও তিন মূর্তি কমপ্লেক্সে কোনও বদল আনার কথা বাজপেয়ীর সরকার কখনওই ভাবেনি। অথচ, হাল-হকিকত দেখে মনে হচ্ছে, এই সরকারের সেটিই মূল অ্যাজেন্ডা”।

মনমোহন সিংহ আরও লেখেন, “নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম এবং কমপ্লেক্স ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর স্মৃতিতে অর্পিত। তিনি শুধু ভারতের প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না। তিনি ছিলেন এই দেশ গড়ার অন্যতম কারিগরও। গোটা দেশ তথা বিশ্বই তাঁর অসামান্য কর্মকান্ডের সাক্ষী রয়েছে। তাঁর অসাধারণত্ব ও মহানতাকে স্বীকার করে নেন তাঁর বিরোধীরাও”।

প্রসঙ্গত, মোদী সরকার নেহরু মিউজিয়ামে তাঁদের নতুন প্রকল্প গড়ার জন্য মোট 270 কোটি টাকা অনুমোদন করেছে।

মনমোহন সিংহ অটল বিহারী বাজপেয়ীকে উদ্ধৃত করে বলেন, “জওহরলাল নেহরুর মৃত্যুর পর অটল বিহারী বাজপেয়ীজি একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল বক্তৃতা দেন সংসদে। সেখানে তিনি বলেছিলেন- ‘তিনমূর্তিতে আর পা ফেলবেন না এমন একজন অসামান্য ব্যক্তিত্ব। অমন আত্মবিশ্বাসী নেতা, অমন সুশৃঙ্খল ভদ্রতা, অমন দুর্দান্ত আভিজাত্য এবং সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে এগিয়ে চলার অমন চমৎকার ক্ষমতা আমরা হয়তো অদূর ভবিষ্যতে আর কোনও নেতার মধ্যেই দেখতে পাব না। মতাদর্শের পার্থক্য থাকলেও আমরা তাঁর আদর্শ, তাঁর সততা, দেশের প্রতি তাঁর ভালোবাসাকে নতমস্তকে শ্রদ্ধা করি’ ”।

মনমোহন লেখেন, “সংস্কারের নামে নেহরুর অনন্য ভূমিকাকে মুছে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তা উদ্বেগজনক”।  

.

s3l5jcmo

 

.