‘মন কি বাত’-এ দু’জন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
হাইলাইটস
- প্রধানমন্ত্রী কথা বলেন করোনার সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে যাওয়া দু’জনের সঙ্গে
- রবিবার ‘মন কি বাত’-এ তিনি কথা বলেন তাঁদের সঙ্গে
- দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত প্রায় ১,০০০ জন
নয়াদিল্লি: লকডাউনের (Lockdown) পরে এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ভাষণ দিলেন ‘মন কি বাত' (Mann Ki Baat) রেডিওঅনুষ্ঠানে। তাঁর কঠিন সিদ্ধান্তের জন্য তিনি ক্ষমা চাইলেন। পাশাপাশি জানিয়ে দিলেন, করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় এটাই পথ। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কথা বলেন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে যাওয়া দু'জনের সঙ্গে। এক ব্যক্তিকে তাঁর লড়াইয়ের কাহিনি ‘ভাইরাল' করে তোলার আর্জি জানান, যাতে তা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে মানুষ দ্রুত ছড়াতে থাকা এই অসুখের বিরুদ্ধে আতঙ্ক না করে লড়ার সাহস পায়। হায়দরাবাদের তথ্যপ্রযুক্তির কর্মী যিনি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্ত হয়েছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, তিনি যখন প্রথম এই রোগের আক্রান্ত হন তখন তা সবে ভারতে ছড়াতে শুরু করেছে। তিনি প্রথমে এই কথায় বিশ্বাস করেননি। তিনি জানান, তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। দুবাইতে গিয়ে তিনি ওই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিলেন।
লকডাউনের মধ্যে দিল্লি থেকে মধ্যপ্রদেশ পায়ে হেঁটে পৌঁছতে গিয়ে মৃত্যু যুবকের
তিনি জানাচ্ছেন, হাসপাতালে গিয়েও প্রথমটায় তিনি মানিয়ে নিতে পারছিলেন না। কিন্তু চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীদের সহায়তায় তিনি ভরসা পান। তবে তাঁর পরিবারের লোকেরা উৎকণ্ঠায় ছিলেন।
তাঁর পরিবারের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘ওঁরা খুবই উৎকণ্ঠায় ছিলেন। খুবই আতঙ্কিত ছিলেন। কিন্তু সৌভাগ্যবশত ওঁদের সকলেরই পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসে। সেটা একটা বড় স্বস্তির বিষয় ছিল।''
কোয়ারান্টাইনে থাকা যুবকের নগ্ন হয়ে দৌড়, কামড়ে মৃত্যু মহিলার
ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, সুস্থ হওয়ার পরও তিনি প্রতিটি সতর্কতা মেনে চলছেন। সময়মতো হাত ধোয়া ও আইসোলেশনে থাকার নিয়ম মানছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আপনি তথ্যপ্রযুক্তিতে রয়েছেন। একটি অডিও রেকর্ডিং করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন। এটাকে ভাইরাল করে দিন। যাতে মানুষ আতঙ্কিত না হয়ে বুঝে নিতে পারেন কী ভাবে এর মোকাবিলা করতে হবে।''
এরপর প্রধানমন্ত্রী আগ্রার এক ব্যক্তিকে ফোন করেন, যিনি কোভিড-১৯ এ সংক্রামিত হয়েছেন সপরিবারে।
ওই ব্যক্তি জানান, তাঁর দুই ছেলে ও জামাই ইতালি জুতো মেলাতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পর তাঁর জামাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘‘ও আমার ছেলেদের বলে পরীক্ষা করাতে। যখন ওরা আগ্রারা হাসপাতালে গেল চিকিৎসকরা বললেন, পরিবারের সকলকেই পরীক্ষা করাতে হবে। আমরা ছ'জন— আমি ৭৩, আমার স্ত্রী, দুই পুত্র, পুত্রবধূ, নাতি— আমাদের সকলেরই পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ।''
দু'টি অ্যাম্বুল্যান্সে করে ওই পরিবারকে নিয়ে আসা হয় সফদরজং হাসপাতালে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি ঠিক আছি। আমার হাঁটুতেও অস্ত্রোপচার হয়েছে।''
লকডাউন ঘোষণার পাঁচদিন পর জাতির উদ্দেশে তাঁর রেডিও অনুষ্ঠানে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী। গত মঙ্গলবার রাত আটটায় তিনি লকডাউন ঘোষণা করেন।
দেশে এখনও পর্যন্ত করোনা সংক্রমণের শিকার প্রায় ১,০০০ জন। মারা গিয়েছেন ২৭ জন।