নয়াদিল্লি: প্রতি মাসের 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানের এই পর্বে লাদাখ নিয়ে রবিবার সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদি (PM on Maan ki Baat) বলেন, "লাদাখে (Indo-China Ladakh Stand off) ভারতীয় ভূখণ্ডে যাদের নজর পড়েছে, তাদের যোগ্য জবাব দেওয়া হয়েছে। ভারত যেমন বন্ধুত্ব করতে জানে, তেমন শত্রুদের জবাব দিতে জানে। আমাদের সাহসী জওয়ানরা নিশ্চিত করেছে, মাতৃভূমিকে আক্রমণে কাউকে রেয়াত করবে না।" যে হারে দেশের মানুষ চিনা পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে, তার প্রভাব সে দেশের অর্থনীতিতেও পড়বে। এমন বার্তাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, "সাহসী জওয়ানদের কাছে আমরা মাথা নত করি। এঁরাই দেশকে নিরাপদ রেখেছেন। ওঁদের আত্মত্যাগ সবসময় স্মরণ করবে দেশ।"
পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় যদি এখনও চিন কোনও অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করে তবে তার যোগ্য জবাব দেওয়া হবে, রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে বলল ভারত। শুধু তাই নয়, ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেও এর প্রভাব পড়বে বলেও প্রতিবেশী দেশটিকে সতর্ক করা হল। ভারতের দাবি, পূর্ব লাদাখে চিনা সেনার দাপাদাপি বন্ধ করুক বেজিং। চিনে দায়িত্বরত ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম মিশ্রি সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় যে সমস্যা তৈরি হয়েছে তা আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার একমাত্র রাস্তা হ'ল চিনের তরফ থেকে সেখানে নতুন নির্মাণ বন্ধ করা। তিনি বলেন, "গালওয়ান উপত্যকার উপর চিনের সার্বভৌমত্বের দাবি মোটেই যুক্তিযুক্ত নয়"। চিনের এই ধরনের অতিরঞ্জিত দাবিগুলি যে কোনও কাজে আসবে না, সেকথাও মনে করিয়ে দেন তিনি। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে দু'দেশের মধ্যে এই চাপানউতোর শুধু যে ওই এলাকায় উত্তেজনা তৈরি করবে তাই নয়, চিনের এই কার্যকলাপ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলবে এবং পাল্টা প্রতিক্রিয়াও সৃষ্টি করবে।
ভারতের রাষ্ট্রদূত বলেন, "দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতির জন্যে সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা একটি অপরিহার্য শর্ত। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে চিনের সেনাবাহিনীর এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কোনও শর্তই মেনে চলছে না। চিনের উচিত ভারতীয় সেনার সাধারণ টহলদারিতে বাধা সৃষ্টি না করা।"