স্বভাবতই বিরোধীদের দাবিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি নেতা।
হাইলাইটস
- সেনার পোশাকে বিজেপির হয়ে প্রচার করে বিতর্কে জড়ালেন মনোজ তিওয়ারি
- বিরোধীদের দাবি সেনাকে রাজনৈতিক কাজে লাগাচ্ছে দিল্লির বিজেপি সভাপতি
- মনোজ বলেছেন সেনার জন্য গর্ব করেন বলে ইউনিফর্ম পরেছেন
নিউ দিল্লি: সেনার পোশাকে বিজেপির হয়ে প্রচার করে বিতর্কে জড়ালেন মনোজ তিওয়ারি। দিল্লি বিজেপির এই সভাপতি শনিবার ভারতীয় সেনা বাহিনীর চিরাচরিত পোশাক পরে প্রচার করেন। আর এই বিষয়টিকেই হাতিয়ার করেছন বিরোধী নেতা- নেত্রীরা। তাঁদের তরফে থেকে দাবি করা হয়েছে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে তৈরি হওয়া সাম্প্রতিক উত্তেজনার মধ্যে বায়ুসেনা বাহিনী যে আঘাত হেনেছে সেটাকে রাজনৈতিক ভাবে কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি। অন্যদের আগেই মনোজকে আক্রমণ করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক'ও ব্রায়েন। টুইটে তৃণমূলের এই জাতীয় মুখপাত্র লেখেন, লজ্জা লজ্জা লজ্জা! সাংসদ এবং দিল্লি বিজেপির সভাপতি সেনার পোশাক পরে ভোট চাইছেন। এসমস্ত করে বিজেপি এবং মোদী- শাহরা আমাদের সেনা বাহিনীকে অপমান করছেন আর দেশপ্রেম নিয়ে ভাষণ দিচ্ছেন!
লোকসভা ভোটের কাজ দেখতে ১২ সদস্যের কমিটি গঠন করল তৃণমূল
জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আব্দুল্লাও আক্রমণ শানান। সেনার পোশাক পরিহিত মনোজের ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, এরপরও বিজেপি নেতারা সেনার রাজনীতিকরণ নিয়ে বিরোধীদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে কংগ্রেস নেত্রী শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায় বলেন, এটি একটি রাজনৈতিক চমক দেওয়ার চেষ্টা মাত্র। একজন জওয়ান দেশের সম্মান রক্ষা করতে নিজের জীবন উৎসর্গ করেন। ইউনিফর্ম তাঁর গৌরবের প্রতীক। আর তা নিয়েই তামাশা করছেন বিজেপি নেতা।
স্বভাবতই বিরোধীদের দাবিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, আমি সেনা বাহিনীর জন্য গর্ব বোধ করি বলে তাদের পোশাক পরেছি। আমি সেনা বাহিনীতে নেই কিন্তু জওয়ানদের জন্য আমার সহমর্মিতা আছে।আর তাই আমার কাজটাকে বাহিনীর প্রতি অপমান হিসেবে দেখার কোনও কারণ নেই। বাহিনীর প্রতি আমার যথাযথ সম্মান আছে।
পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতীয় বায়ুসেনার স্ট্রাইক নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী নেতা- নেত্রীরা। তার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিরোধী দল গুলিকে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কন্যাকুমারীর একটি সভা থেকে শুক্রবার তিনি বলেন, কয়েকটি দল মোদীকে ঘৃণা করে বলে দেশের ক্ষতি করছে। পাকিস্তানের সুবিধা করে দিচ্ছে। বিশ্বের অন্য দেশ গুলি সন্ত্রাসের প্রশ্নে আমাদের সমর্থন করছে কিন্তু কয়েকটি রাজনৈতিক দল তা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। গোট দেশ সশস্ত্র বাহিনীকে সমর্থন করে কিন্তু ওই শক্তি গুলি সেটাকেই সন্দেহের চোখে দেখে। বিরোধী নেতা-নেত্রীরা এমন কথা বলছেন যা পাকিস্তানের সংসদ এবং রেডিওতে ব্যবহার করা যাচ্ছে। তাঁদের কাছে আমার প্রশ্ন আপনারা সেনা বাহিনীকে বিশ্বাস করেন নাকি সন্দেহ করেন?