মঙ্গলবার সকালে নেতাজি ভবন মেট্রো স্টেশনে এই ঘটনা ঘটে। (ফাইল ছবি)
কলকাতা: আবারও কলকাতা মেট্রোয় হাত আটকে গেল এক ব্যক্তির। তবে আরপিএফ কর্মীরা অ্যালার্ম বাজানোয় সঙ্গে সঙ্গে ট্রেনটি দাঁড়িয়ে পড়ে। ফলে এড়ানো বড়সর দুর্ঘটনা, এমনটাই জানিয়েছেন মেট্রো রেলের এক আধিকারিক। মঙ্গলবার সকাল ৮টা ৪৭ নাগাদ নেতাজি ভবন মেট্রো স্টেশনে দমদমগামী ট্রেনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এদিনের ঘটনা ফের উস্কে দিল কয়েক সপ্তাহ আগে সজল কাঞ্জিলালের দুর্ঘটনার স্মৃতি। গত ১৩ জুলাই মেট্রে স্টেশনে হাত আটকে যায় সজল কাঞ্জিলালের, বেশ কিছুটা তাঁকে চেনে নিয়ে যায় ট্রেনটি। পরে দাঁড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার সকালে দমদমগামী ট্রেনটির দ্বিতীয় কামরায় উঠেছিলেন ওই ব্যক্তি। কোনওভাবে তাঁর হাত বন্ধ দরজায় আটকে যায় বলে জানিয়েছেন মেট্রোর মুখপাত্র ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়।
হাত আটকে মৃত্যুর ঘটনায় মেট্রো রেলের বিরুদ্ধে এফআইআর
মেট্রো রেলের মুখপাত্র ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যাইহোক, যেহেতু ওই ব্যক্তির শরীর ট্রেনের ভিতরে ছিল, ফলে কোনওরকম সামান্যতম ক্ষতিরও আশঙ্কা ছিল না”। ট্রেনটি দাঁড়িয়ে পড়তেই ওই ব্যক্তি তাঁর আঙুল টেনে বের করে নেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ট্রেনটি নেতাজি ভবন স্টেশন পেরোনোর সময়, ওই ব্যক্তির হাত আটকাতে দেখেন এক আরপিএফ কর্মী, সঙ্গে সঙ্গে অ্যালার্ম বাজানো হয় এবং ট্রেনটি দাঁড়িয়ে পড়ে।
তাঁর কথায়, “কেবলমাত্র প্রথম কামরা এবং দ্বিতীয় কামরার অর্ধেকটা স্টেশন পেরিয়েছিল। ট্রেনটি যখন দাঁড়িয়ে পড়ে, সেই সময় সাতটি কামরাই প্লাটফর্মে ছিল”। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই ট্রেনটি ছেড়ে দেয়, ফলে ওই ব্যক্তিকে কোনওরকম জরিমানা করা হয়নি বলে জানান মেট্রো রেলের মুখপাত্র।
মেট্রোর দরজায় হাত আটকে ভয়াবহ মৃত্যু ঘটল যাত্রীর
১৩ জুলাই, পার্ক স্ট্রিট স্টেশনে, কবি সুভাষগামী মেট্রোয় উঠতে গিয়ে হাত আটকে যায় সজল কাঞ্জিলালের। প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানিয়েছেন, ট্রেনটি সুড়ঙ্গে প্রবেশ করলে টানেলে পড়ে যান তিনি। পরিস্থিতি বুঝতে পেরে মেট্রোর কর্মী এবং যাত্রীরা অ্যালার্ম বাজালে ট্রেনটি দাঁড়িয়ে পড়ে। সেই সময়, ট্রেনটির চারটি বগি প্লাটফর্মেই ছিল। তরিঘরি সজল কাঞ্জিলালকে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)