শোভন চট্টোপাধ্যায়ের দলে অন্তভুক্তি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া ছিল বলে জানান দিলীপ ঘোষ।
কলকাতা: বুধবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন কলকাতা পুরনিগমের দুবারের মেয়র এবং তৃণমূল বিধায়ক শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে দলে টানতে পারা বিজেপির কাছে বড় পাওনা। এরমধ্যেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের অন্তভুর্ক্তি দলের শক্তি বাড়াবে, পাশাপাশি মমমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিবিরের অনেক নেতা এবং বিধায়কই গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের দলে অন্তভুক্তি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া ছিল বলে জানান দিলীপ ঘোষ। বুধবার নয়াদিল্লিতে গিয়ে পদ্ম শিবিরে নাম লেখান শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বন্ধু বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমরা দলে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। আগামী দিনে, তাঁর যোগদান দলকে আরও শক্তিশালী করবে”।
তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। ২০১৮-এ তাঁকে কলকাতা পুরসভার মেয়র এবং রাজ্যের মন্ত্রীপদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সম্প্রতি তাঁকে দলে ফিরিয়ে ফের সক্রিয় করে তুলতে উদ্যোগী হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই পরিস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখালেন তিনি।
এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমাদের সঙ্গে অনেক তৃণমূল নেতা এবং বিধায়কই যোগাযোগ রাখছেন এবং খুব শীঘ্রই তাঁরা বিজেপিতে যোগ দেবেন”।
রায়দিঘীর তৃণমূল বিধায়ক দেবশ্রী রায়ের বিজেপিতে যোগদান নিয়েও জল্পনা ছড়ায়। সেই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি জানান, কিছু সিদ্ধান্তের কারণে তা বাতিল করা হয়েছে। “তবে খুব শীঘ্রই তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন” বলে জানান গেরুয়া শিবিরের বঙ্গ ব্রিগেডের ক্যাপ্টেন।
২০১৭-এ নারদ স্ট্রিং অপারেশনের তদন্তে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে তলব করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এবং সিবিআই। স্ট্রিং অপারেশন চালানো সাংবাদিকদের থেকে যে সমস্ত তৃণমূলনেতাকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ও ( Sovan Chatterjee)।
ব্যক্তিগত জীবনের সমস্যার কারণে., গত নভেম্বরে রাজ্যের মন্ত্রী এবং কলকাতা পুরনিগমের মেয়র পদ থেকে সরে দাঁড়ান শোভন চট্টোপাধ্যায় ( Sovan Chatterjee)। সম্প্রতি তাঁকে দলে ফেরাতে এবং ফের ঘাসফুলের হয়ে সক্রিয় করে তোলার চেষ্টা করতে নামে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব, আসরে নামেন খোদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যদিও ব্যর্থ হন তিনি।
তিন দশকের রাজনৈতিক জীবনে, ১৯৮০ তে কলকাতা পুরনিগমের কংগ্রেস কাউন্সিলর ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ( Sovan Chatterjee)। ১৯৯৮ এ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি। সেবারই তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) গঠন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১-এ তৃণমূলের টিকিটে বিধায়ক হন শোভন চট্টোপাধ্যায়।
এখনও পর্যন্ত ৬ জন বিধায়ককে টলে টেনেছে বিজেপি (BJP)। তারমধ্যে কংগ্রেস ও সিপিআইএমের রয়েছেন একজন করে বিধায়ক।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)