This Article is From Apr 06, 2019

“স্বাধীনতা চাই!” শ্রেণিসাম্য আর শান্তির দাবিতে কলকাতার মিছিলে ২৫০০ মুখ....

‘March4Change’ নামের এই পদযাত্রায় যুদ্ধ আর শোষণের বিরুদ্ধে একযোগে স্লোগান তুলেছেন হাজারো মানুষ।

শান্তি আর সাম্য চেয়ে রাস্তায় নামলেন নারী, আদিবাসী, পড়ুয়া, শিল্পী, সাংবাদিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধকতাযুক্ত কিছু বিশেষ মানুষ

কলকাতা:

রাজনৈতিক দলাদলি আর প্রতিশ্রুতি প্রদানের প্রতিযোগিতা চলছে চারদিকে। ভোটের এই আবহেই শান্তি আর সাম্য চেয়ে রাস্তায় নামলেন নারী, আদিবাসী, পড়ুয়া, শিল্পী, সাংবাদিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধকতাযুক্ত কিছু বিশেষ মানুষ। প্রায় ২৫০০ মানুষ গতকাল কলকাতায় রাস্তায় পা মিলিয়েছেন, হেঁটেছেন বিশ্বের শান্তি ও মানুষের সমতার দাবিতে। ‘March4Change' নামের এই পদযাত্রায় যুদ্ধ আর শোষণের বিরুদ্ধে একযোগে স্লোগান তুলেছেন হাজারো মানুষ।

এই মিছিলের অন্যতম আয়োজক অনু কাপুর বলেন, “কী করতে হবে, কী করা উচিৎ এসেবের অনেক উর্ধ্বে গিয়ে আমরা বলার চেষ্টা করছি যে আমরা স্বাধীনতা চাই। আমরা বর্ণবাদ, শ্রেণি, বর্ণ ও ধর্মের উপর ভিত্তি করে বিভাগের বিরুদ্ধে কথা বলছি। আমরা যা চাই তা বলতে পারার স্বাধীনতা দাবি করছি, আমরা সব প্রতিষ্ঠানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই।” 

প্রাগৈতিকহাসিক তিমিরা কি চারপায়ে হেঁটে বেড়াত ভারত-পাকিস্তানে?

মিছিলে পা মিলিয়ে একজন বলেন, “নারীবাদীরা শুধু নারীদের কথাই বলেন না, তারা সাম্য ও শান্তি চান। আমি মনে করি এটি আমার সমাবেশ, এবং আমি আমার দাবি জানাতে দ্বিধান্বিত নই। আমি খুবই গর্বিত।” মিছিলের মুখ নীলাঞ্জনা ভৌমিক বলেন, “আমি একজন নারীবাদী, ব্যক্তিগতভাবে এবং আকাদেমিকভাবে আমি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং অঞ্জলি নামের একটি দলের প্রতিনিধিত্ব করি। নারীদের উপর যে সব বাধা এবং শেকল চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে তা তাঁরা ভাঙ্গতে চান। আমরা এসবের থেকে মনেক উর্ধ্বে মুক্তি চাই।"

ka1tu3lo

মিছিলে পা মেলানো একজন বলেন, “আমরা বর্ণবাদ, শ্রেণি, বর্ণ ও ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজনের বিরুদ্ধে কথা বলছি।” অন্যজন বলেন, “আমরা ফ্যাসিবাদের (forces of fascism) বিরুদ্ধে আমাদের কথা জোর গলায় জানাতে এসেছি। ফ্যাসিবাদ জনসাধারণের বুদ্ধিবৃত্তির কণ্ঠস্বরকে নষ্ট করে দেয় এবং বর্বরভাবে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যৌথ প্রতিরোধ গড়ে তোলার সময় এসেছে।” রূপান্তরকামী রুদ্র মল্লিক জানান, “এই সমাবেশে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ স্বাধীনতা দাবি করছে।”

 কন্ডোমের সুবর্ণজয়ন্তী! ভারতে আজকের দিনেই শুরু হয় কন্ডোম তৈরি, ৫০-এ পা

এই মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা জানান, সরকার দেশ জুড়ে নারী বিদ্বেষ (misogyny) ছড়াচ্ছে। মিছিলের মুখ ভবানী পাল বলেন, “আমরা বর্তমান সরকারকে দেখেছি তার অনুসারীরা দেশ জুড়ে নারী বিদ্বেষ, ঘৃণা এবং মিথ্যা ছড়াচ্ছে। অনেক হয়েছে! এবার লোকসভা নির্বাচন চলে এসেছে!”

লাভ জিহাদ, রোমিও স্কোয়াড, খাপ পঞ্চায়েত ও মহিলাদের নিয়ে নোংরা ট্রোলিংয়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ ওঠে এই মিছিলে।

.