தமிழில் படிக்க Read in English
This Article is From Dec 15, 2018

মেঘালয়ে ৩২০ ফুট গভীর গর্তে আটকে পড়লেন ১৩ জন, এখনও উদ্ধার করা যায়নি একজনকেও

৩২০ ফুট গভীর ওই গর্ত থেকে তেরোজন মানুষকে উদ্ধারের জন্য শুক্রবার সকাল থেকে কাজে লেগেছে উদ্ধারকারী দল। যেখানে রয়েছেন  ১০০'র বেশি  কর্মী। 

Advertisement
অল ইন্ডিয়া (with inputs from Agencies)
গুয়াহাটি:

অনেক দূর থেকে কেউ যদি দেখে, তাহলে তার অবশ্যই মনে হবে একের পর এক ইঁদুরের গর্ত ছড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু কাছে গেলে বোঝা যায়, সেগুলি ইঁদুরের গর্ত নয়। আসলে স্থানীয় গ্রামবাসীদের খোঁড়া গর্ত, যেখান দিয়ে ঢুকে গিয়ে তাঁরা অবৈধভাবে কয়লা খাদানে অংশ নেন। সেখান থেকেই তুলে আনেন কয়লা। শুক্রবারও সেই অবৈধ খনি থেকে কয়লা তুলতে গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু, আর ফিরে এলেন না। মোট ১৩ জন মানুষ। ওই ১৩ জনেরই মৃত্যুর আশঙ্কা করছে এখন পুলিশ ও প্রশাসন। ৩২০ ফুট গভীর ওই গর্ত থেকে তেরোজন মানুষকে উদ্ধারের জন্য শুক্রবার সকাল থেকে কাজে লেগেছে উদ্ধারকারী দল। যেখানে রয়েছেন  ১০০'র বেশি  কর্মী। 

 

তাঁরা ভিতরে ঢোকার খানিকক্ষণ বাদেই জলে ভরে যায় খনির মুখ। ওই খাদানের প্রায় ৭০ ফুট গভীরে ঢুকে যায় জল। জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরাই পুলিশকে খবর দেন। 

Advertisement

 

উদ্ধারকারী দলে রয়েছেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা। রয়েছেন রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং স্থানীয় পুলিশও। 

Advertisement

 

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সাল থেকেই জাতীয় পরিবেশ আদালত এই খনিগুলিকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেছিল। কিন্তু, তা সত্ত্বেও এই কাজ আটকানো যায়নি। খনির পাশেই নদী৷ সেই নদী থেকেই জল এসে ঢুকে গিয়েছিল খনির ভিতর।

তেরোজনের মধ্যে তিনজন মেঘালয়ের লুমথারির বাসিন্দা। বাকি দশজনের মধ্যে অধিকাংশই পশ্চিম গারো পাহাড় অঞ্চলের বাসিন্দা। একজন থাকেন অসমে। ২০১২ সালেও মেঘালয়ের এমনই একটি খাদানে আটকে পড়ে প্রাণ গিয়েছিল ১৫ জন মানুষের।

Advertisement