This Article is From Jun 24, 2020

গায়ের রঙ দেখে জীবনসঙ্গী বাছাই! সমালোচনার মুখে 'ত্বকের রঙ' অপশন তুলে নিল Shaadi.com!

শাদি ডট কম ওয়েবসাইট জানিয়েছে যে, “এই অপশনটি সরাতে ভুলে গেছিলাম” এবং সংস্থাটি আরও যোগ করেছে এই অপশনটি এখন থেকে আর “কাজ করবে না"।

গায়ের রঙ দেখে জীবনসঙ্গী বাছাই! সমালোচনার মুখে 'ত্বকের রঙ' অপশন তুলে নিল Shaadi.com!

শাদি.কমের প্রতিনিধি আগে জানিয়েছিলেন যে এইটি বেশিরভাগ বাবা-মায়ের প্রয়োজনীয় ফিল্টার

পাত্রী চাই ফর্সা, পাত্র চাই ঝকঝকে! চামড়ার রঙের উপর নির্ভর করে জীবনসঙ্গী বাছাই করার এই বর্ণবৈষম্যমূলক অপশন এবার সরিয়ে নিল বিবাহ সংক্রান্ত ওয়েবসাইট Shaadi.com। BBC-র সূত্র অনুসারে, শাদি ডটকম একটি অপশন সরিয়ে নিয়েছে যাতে ব্যবহারকারীদের গায়ের রঙের ভিত্তিতে সম্ভাব্য জীবনসঙ্গীর সন্ধান করার সুযোগ ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা হেতাল লখানী এই অপশনের বিরুদ্ধে একটি অনলাইন আবেদন শুরু করার পরেই এই পদক্ষেপ। শাদি ডট কম ওয়েবসাইট জানিয়েছে যে, “এই অপশনটি সরাতে ভুলে গেছিলাম” এবং সংস্থাটি আরও যোগ করেছে এই অপশনটি এখন থেকে আর “কাজ করবে না"।

গায়ের রঙের ফিল্টার অপসারণের পদক্ষেপ বর্ণবাদের বিরুদ্ধে জারি এক বিশ্বব্যাপী আন্দোলনের মধ্যেই উত্থাপিত হয়েছে। বহু বলিউড সেলিব্রিটিও ফেয়ারনেস ক্রিমের বিজ্ঞাপন এবং প্রচারের জন্য সমালোচনার মুখে পড়েছেন এবং জনসন অ্যান্ড জনসন ভারতে ত্বক ফর্সা করার পণ্যের বিক্রি বন্ধ করতেও বাধ্য হয়েছে।

হেতাল লখানী তার অনলাইন আবেদনে লিখেছিলেন, “ফর্সা ত্বকের জন্য আকাঙ্খা এখনও দক্ষিণ এশিয়ার সম্প্রদায়ের মধ্যে বিশ্রীভাবে জাঁকিয়ে রয়েছে।” এখনও অবধি ১৬০০-রও বেশি মানুষ এই পিটিশনে সই করেছেন।

lq1dafq

“শাদি ডট কমের একটি রঙের ফিল্টার রয়েছে যাতে ব্যবহারকারীদের ‘ফর্সা', ‘শ্যামবর্ণ', এবং ‘কালো'-র মতো বর্ণনা ব্যবহার করে নিজেদের ত্বকের রঙ নির্দেশ করতে বলে এবং ত্বকের রঙের ভিত্তিতে সম্ভাব্য জীবনসঙ্গী অনুসন্ধান করার সুযোগ দেয়,” লিখেছেন হেতাল। তিনি আরও লেখেন, “আমরা দাবি করছি যে শাদি ডট কমকে অবশ্যই পছন্দসই ত্বকের রঙের উপর ভিত্তি করে বাছাই করার জন্য চামড়ার রঙের ফিল্টার স্থায়ীভাবে অপসারণ করতে হবে।"

শাদি ডট কম ব্যবহারকারী মেঘান নাগপালের একটি ফেসবুক পোস্ট দেখে এই পিটিশনটি শুরু করার বিষয়টি মাথায় আসে হেতাল লখানীর।

“আমি তাদের (শাদি.কম) ইমেল করি এবং একজন প্রতিনিধি বলেন যে এইটি বেশিরভাগ বাবা-মায়ের প্রয়োজনীয় ফিল্টার,” বিবিসিকে বলেন মেঘান নাগপাল।

ফেসবুকে দেহের রঙের ফিল্টার নিয়ে আলোচনা করার পরে হেতাল লখানী বিষয়টিকে আরও বড় প্ল্যাটফর্মে তুলে নিয়ে যান এবং এই বর্ণবৈষম্য মূলক ফিল্টার সরিয়ে নেওয়ার জন্য একটি পিটিশন শুরু করেন।

“আমি এমনভাবে এর মোকাবিলা করতে চেয়েছিলাম যাতে স্পষ্টত একটা পার্থক্য তৈরি হয় তাই আমি একটি পিটিশন শুরু করেছিলাম। এবং শুরু হতেই এটি ব্যাপক বেগে ছড়িয়ে পড়ে! ১৪ ঘন্টার মধ্যে আমাদের ১,৫০০-রও বেশি সই জমা পড়ে। এই বিষয়টিকে উত্থাপন করতে পেরে খুশি হয়েছিলেন সাধারণ মানুষ,”  বলেন হেতাল।

ভারতে বর্ণবৈষম্য আজকের বিষয় নয়। বহু বছর ধরে, বহু ফেয়ারনেস ক্রিমের সমালোচনা এই দেশে চলেছে, তবু তা বহমান। গত মাসে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভের সূত্রপাত হওয়ায় বিষয়টি আবারও আলোচনার আলোকে আসে।

Click for more trending news


.