Read in English
This Article is From Feb 25, 2020

"বাবার কী দোষ ছিল?" প্রশ্ন দিল্লির সিএএ হিংসার বলি পুলিশ কর্মীর সন্তানদের

সিএএ বিক্ষোভ চলাকালীন দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের মাঝে পড়ে প্রাণ যায় দিল্লি পুলিশের হেড কনস্টেবল রতনলালের, তাঁর মৃত্যুসংবাদ শুনেই অজ্ঞান হয়ে যান স্ত্রী

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

Maujpur: সিএএ নিয়ে সংঘর্ষ চলাকালীন মৃত্যু হয় দিল্লি পুলিশের হেড কনস্টেবল রতন লালের

Highlights

  • সিএএ হিংসার বলি মৃত পুলিশকর্মীর বাড়িতে শোকের ছায়া
  • রতনলাল নামে দিল্লি পুলিশের ওই হেড কনস্টেবলের মৃত্যু হয় সোমবার
  • বিক্ষোভকারীদের ছোঁড়া ইটে আহত হন তিনি, পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর
নয়া দিল্লি:

সোমবার পূর্ব দিল্লির মৌজপুরে (Maujpur) সিএএ-সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালীন (CAA Clashes) তার মাঝে পড়ে অকালে প্রাণ যায় দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) হেড কনস্টেবল রতনলালের। অসময়ে তাঁর এই মৃত্যু মানসিক দিক থেকে একেবারে ভেঙেচুরে দিয়েছে তাঁর পরিবারকে। বাবার (Ratan Lal) কী দোষ ছিল, কাঁদতে কাঁদতে অবাক চোখে পুলিশ কমিশনারকে জিজ্ঞাসা করে রতনলালের সন্তানেরা। সিদ্ধি (১৩ বছর), কনক (১০ বছর) এবং রাম (৮ বছর), বাবার মৃ্ত্যুতে রীতিমতো বিপর্যস্ত তাঁরা। রতনলালের মৃত্যুসংবাদ শুনেই অজ্ঞান হয়ে যান তাঁর স্ত্রী পুনম। রতনলালের পরিচিতদের মতে, একেবারে শান্তিপ্রিয় মানুষ ছিলেন তিনি এবং কখনও কোনও লড়াই বা তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়তেন না ওই পুলিশ কর্মী।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ নিয়ে যখন পূর্ব দিল্লিতে হিংসা-হানাহানি চলছিল, তখনই দয়ালপুর থানার কাছে ওই হেড কনস্টেবলের উপর হামলা হয় বলে অভিযোগ।

রাজস্থানের সিকার জেলার ফতেপুর তিহওয়ালি গ্রামের বাসিন্দা রতনলাল ১৯৯৮ সালে দিল্লি পুলিশে যোগ দেন। পরে ২০০৪ সালে জয়পুরের বাসিন্দা পুনমের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর।

Advertisement

দিল্লিতে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সংঘর্ষে পুলিশের সামনেই চলল গুলি

রতনলালের মৃত্যুর খবর বুরারির অমৃত বিহার কলোনীতে তাঁর বাড়িতে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গে ৩ সন্তান কাঁদতে শুরু করে। দাদার মৃত্যুর খবর পেয়ে শোকার্ত পরিবারের পাশে থাকার জন্যে তাঁর ছোট ভাই বেঙ্গালুরু নিবাসী মনোজ দিল্লিতে চলে আসেন।

Advertisement

রতনলালের ছোট ভাই দীনেশ বলেন, "তিনি গোকুলপুরীর সহকারী পুলিশ কমিশনারের সহযোগী ছিলেন। দিল্লিতে ওই সংঘর্ষের খবর পেয়ে তিনি তখনই এসিপির সঙ্গে ওই জায়গায় যান, সেই সময়েই তাঁকে ঘিরে ফেলে উত্তেজিত জনতা। বিক্ষোভকারীদের ছোঁড়া ইটের আঘাতে মৃত্যু হয় দাদার"।

"আইন শৃঙ্খলা ফেরান, শান্তি নিশ্চিত করুন": অমিত শাহকে কেজরিওয়ালের বার্তা

Advertisement

দীনেশ আরও বলেন, আমরা কখনই আমাদের ভাইকে সাধারণ পুলিশ কর্মীর মতো আচরণ করতে দেখিনি।

দয়ালপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর হীরালাল, যিনি প্রায় আড়াই বছর রতনলালের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি বলেন, "ওঁর আচরণ ও ভাষা কখনই পুলিশের মতো ছিল না, বরাবরই একটু চুপচাপ ধরণের মানুষ ছিলেন"।

Advertisement