রাজস্থানের অশোক গেহলট সরকারকে কটাক্ষ করেছেন মায়াবতী।
লখনউ: রাজস্থানে রাষ্ট্রপতি শাসনের আর্জি নিয়ে রাজ্যপালকে দরবার করলেন মায়াবতী (Mayawati on Rajasthan)। শনিবার বিএসপি প্রধান বলেছেন, "রাজস্থানে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। সেই বিষয়ে পদক্ষেপ নিক রাজ্যপাল এবং রাষ্ট্রপতি শাসনের (President Rule in Rajasthan) সুপারিশ করুন।" টুইটে তাঁর অভিযোগ, "রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে জোট রাজনীতির আইন লঙ্ঘন করেছেন। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বিএসপি বিধায়ককে কংগ্রেসের সদস্যপদ দিয়েছেন। এমনকী, আইন ভেঙে বিধায়কদের ফোন আড়ি পেতেছ সে রাজ্যের সরকার।" এদিকে, দলে কোণঠাসা প্রসঙ্গে ফের একবার ঘুরিয়ে গান্ধি পরিবারকে কাঠগড়ায় তুলল পাইলট শিবির। সূত্রের খবর, প্রিয়াঙ্কা বঢড়া গান্ধির সঙ্গে কথা বলার তিন ঘন্টার পরেই শচীন পাইলটের ওপর শাস্তির খাঁড়া নামে। প্রদেশ সভাপতির পদ থেকে তাঁকে সরানো হয়। পাশাপাশি হারান উপ-মুখ্যমন্ত্রীর পদ। কংগ্রেস সূত্রে খবর, বুধবার প্রিয়াঙ্কা গান্ধি একবার চেষ্টা করেছিলেন শচীন পাইলটের বিদ্রোহ দমন করতে। তাঁর সঙ্গে কথাও বলেন প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকায় হাইকমান্ড বাধ্য হয়েছে তাঁর পদ কাড়তে।
এদিকে, রাজস্থানের কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত এবং বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস বিধায়ক ভানোয়ারলাল শর্মা বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। কংগ্রেসের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, ওই বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস বিধায়ক যে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে অশোক গেহলট সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন তার নাকি প্রমাণও মিলেছে। বৃহস্পতিবারই এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা দলীয় বিধায়ক ভানোয়ারলাল ওই গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন যে, কিছু অডিও টেপ তাঁদের হাতে এসেছে যেখানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র শেখাওয়াতের সঙ্গে ভানোয়ারলাল ও সঞ্জয় জৈনের কথোপকথন রয়েছে। এরপরেই তদন্তে নেমে পুলিশ গ্রেফতার করেছে সঞ্জয় জৈনকে। বিজেপির তরফ থেকে যদিও সঞ্জয় জৈনের সঙ্গে কোনও যোগসূত্র থাকার বিষয় অস্বীকার করা হয়েছে।
কংগ্রেস অবশ্য আগেই ভানোয়ারলাল শর্মা এবং বিশ্বেন্দ্র সিং নামে আরেক কংগ্রেস নেতার প্রাথমিক সদস্যপদ বরখাস্ত করেছে, কারণ তাঁরা নাকি রাজস্থানের কংগ্রেস সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন।
যদিও কংগ্রেস বিধায়ক ভানোয়ারলাল শর্মা অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, বৃহস্পতিবার যে অডিও টেপগুলি প্রকাশিত হয়েছে তাতে যে কণ্ঠগুলো শোনা গেছে তার মধ্যে তাঁর কণ্ঠ নেই।
কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা যদিও জোর দিয়েই বলেছেন, দুটি অডিও রেকর্ডিং প্রকাশিত হয়েছে, আর সেই দুটিতেই ভানোয়ারলাল শর্মাকে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে শোনা গেছে। তবে যে অডিও টেপগুলি অনলাইনে পাওয়া গেলেও সেগুলোকে সাংবাদিক সম্মেলনে চালিয়ে শোনায়নি কংগ্রেস। সুরজেওয়ালা শুধু তাঁদের কথোপকথনের প্রতিলিপি পড়ে শোনান।
এনডিটিভি যদিও ওই অডিও টেপগুলির সত্যতা যাচাই করে দেখেনি। কংগ্রেস দাবি করেছে যে এই অভিযোগগুলির পরিপ্রেক্ষিতে রাজস্থানের পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দলের তদন্ত করা উচিত, তারপর সেই তদন্তের বিস্তারিত রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে জানানো উচিত।
পাশাপাশি সাংবাদিক সম্মেলন থেকে শচীন পাইলটকেও জনসমক্ষে এসে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করার দাবি জানিয়েছেনরণদীপ সুরজেওয়ালা। তিনি বলেন, "শচীন পাইলটের সামনে এগিয়ে আসা উচিত এবং বিজেপিকে বিধায়কদের তালিকা দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে জনসমক্ষে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করুন।"
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)