ওই ব্যক্তি মেয়েটির জামা ধরে টেনে আনেন
ব্রেন্দা বিয়ান্দুড়ি সাধারণত ফাস্ট ফুডের দোকানে যান না। কিন্তু নববর্ষের দিন তার একটু বিশ্রাম আর একটা পানীয় কেনার দরকার হয়েছিল।
তাই বিয়ান্দুড়ি সেন্ট পিটার্সবার্গের ফ্লোরিডার ম্যাক ডোনাল্ডের দোকানে ঢোকেন রবিবার সন্ধ্যায়। তিনি দেখেন ভিতরে প্রায় ফাঁকা। শুধু একজন মাঝবয়সী ব্যক্তি নিজের অর্ডার আনতে যাচ্ছেন কাউন্টারের দিকে।
বিরল ‘সুপার ব্লাড মুন' দেখা যাবে জানুয়ারিতে
কিন্তু সেখানে গিয়ে প্লাস্টিকের স্ট্র না পেয়ে তিনি মুষড়ে পড়েন। বিয়ান্দুড়ি জানান, স্ট্র না পেয়ে তিনি ক্যাশিয়ারের কাউন্টারের দিকে হাঁটা লাগান। ‘‘মহিলা ওই ব্যক্তিকে জানান এখন এটাই নিয়ম। লবি এলাকায় স্ট্র পরিবেশন করা যায় না।'' বিয়ান্দুড়ি ওয়াশিংটন পোস্টকে ফোনে জানান, ‘‘ওই ব্যক্তি বলেন এমন কোনও নিয়ম নেই।''
(দি সেন্ট পিটারর্সবার্গ সিটি কাউন্সিল প্লাস্টিক স্ট্র ব্যবহার বন্ধের পক্ষে গত মাসে ভোট দিয়েছে। ২০২০সালের মধ্যে পুরোপুরি সেই উদ্যোগ কার্যকর করার শপথ গৃহিত হয়েছে।)
'দ্য অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার' নিয়ে অনুপম খেরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের
বিয়ান্দুড়ি লক্ষ্য করেন, এ নিয়ে সাদা চামড়ার দীর্ঘদেহী ক্রেতা ও কালো চামড়ার তরুণী বিক্রেতার মধ্যে তপ্ত বাক্য বিনিময় শুরু হয়। তখনই বিয়ান্দুড়ি নিজের ফোন বার করে খবর দেন পরিস্থিতি ভালো নয়।
‘‘পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে আঁচ করে আমি ফোনের ক্যামেরা অন করে দিই।''—বলেন বিয়ান্দুড়ি।
ভিডিওয়ে দেখা যাচ্ছে লোকটি সোজা কাউন্টারে ঝুঁকে পড়ে মেয়েটির জামার গলা ধরে হিড়হিড় টেনে আনে। এক মুহূর্তের জন্য ওই কর্মী হতচকিত হয়ে গেলেও নিজের ভারসাম্য ফিরে পেতেই তিনি ওই ব্যক্তিকে আক্রমণ করেন।
তখন দোকানের অন্যরা চিৎকার করতে থাকেন, ‘থামো, থামো'। এক সহকর্মী এসে মেয়েটিকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
ওই ক্রেতা তখন মেয়েটির দিকে লক্ষ্য করে বলতে থাকে, ‘ওকে বরখাস্ত করে দেওয়া হোক।' শেষে ওই ব্যক্তিকে বলা হয় দোকান থেকে বেরিয়ে যেতে। বিয়ান্দুড়িও ফোনের রেকর্ডিং শেষ করে পার্কিং লটে মেয়েকে খুঁজতে গেলেও দ্রুত ফিরে আসেন।
ওই ব্যক্তি তখনও ম্যানেজারের সঙ্গে মুখোমুখি ঝগড়া চালিয়ে যাচ্ছিল, ইতিমধ্যে পুলিশ যতক্ষণে পৌঁছয় ওই লোকটি পালিয়ে যায়। পরে বিয়ান্দুড়ি বাড়ি গেলে তার ছেলেমেয়ে সেই ভিডিওটি অনলাইনে পোস্ট করে।
‘‘আমি চেয়েছিলাম ওই লোকটাকে পুলিশ ধরে ফেলুক। ছোট্ট মেয়েটির যেন অকারণে চাকরি চলে না যায়। তাই
ঘটনাটা ভিডিও করে রেখেছিলাম।''
স্কুলের তিনতলা থেকে পড়ে মৃত্যু কিশোরীর
ভিডিওটি লক্ষাধিক ভিউ পায়। রবিবার সন্ধ্যায় পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। তার নাম ড্যানিয়েল উইলিস টেলার। বয়স ৪০। পুলিশ জানিয়েছে, তার কাছে কোনও অস্ত্র ছিল না। তবে তিনি নেশাগ্রস্থ অবস্থায় ছিলেন।
ম্যাক ডোনাল্ড কর্তৃপক্ষকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলেও তারা ই মেলের জবাব দেননি। শুধু এক মন্তব্যে জানানো হয়েছে, ‘‘আমাদের সর্ব্বোচ্চ চেষ্টা থাকে যাতে কর্মী ও ক্রেতারা সুরক্ষিত থাকেন।''
বিয়ুন্দাড়ি বলেন, ‘‘দোকানের কর্মীরা যে ভাবে বিষয়টিকে সামলেছেন তা নিয়ে আমি একটুও সমালোচনা করবো না। আশা করি ওই ব্যক্তি ভবিষ্যতে নিজের রাগের উপরে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখবেন।''
আরও খবর দেখুন এখানে
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)