This Article is From Jan 13, 2020

#me too: রূপাঞ্জনার পর মুখ খুললেন কোন টলি নায়িকা?

সেই সময় এক প্রবীণ পরিচালক কাঞ্চনাকে সরাসরি বলেছিলেন, কাজ পেতে গেলে তাঁর সঙ্গে কম্প্রোমাইজ করতে হবে।

#me too: রূপাঞ্জনার পর মুখ খুললেন কোন টলি নায়িকা?

মানসিক হেনস্থারও প্রতিবাদ জানানো উচিত

কলকাতা:

বলিউডের পর #me too-র ঢেউ টলিপাড়াতেও। যার শুরু পরিচালক অরিন্দম শীল অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মৈত্রকে দিয়ে। বিষয়টি সত্যি না মিথ্যে, বলবে সময়। টলিউডের আর কোন অভিনেত্রী এই হেনস্থার শিকার হয়েছেন জানতে NDTV কথা বলেছিল বিজেপি সদস্য এবং ছোট-বড় পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী Kanchana Moitra-র সঙ্গে। কথার শুরুতে কাঞ্চনা জানালেন, অরিন্দম-রূপাঞ্জনার বিষয়টি জানার পরেই একটা খারাপ লাগা তৈরি হয়েছে তাঁর মনে। এই ঘটনার সত্যাসত্য কিছুই জানেন না। তবে তাঁর সঙ্গেও অভিনয়ের গোড়ার দিকে এক-দু'বার এই রকম ঘটনা ঘটেছিল। 

‘সন্তান, সংসার, চ্যানেলের জন্য মুখ বন্ধ রেখেছিলাম': রূপাঞ্জনা মিত্র

অভিযুক্তের নাম না করে কাঞ্চনা বলেন, তখনও তিনি ততটাও পরিচিত নন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি সম্বন্ধে। সেই সময় এক প্রবীণ পরিচালক সরাসরি বলেছিলেন, কাজ পেতে গেলে তাঁর সঙ্গে কম্প্রোমাইজ করতে হবে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দেন, পরিচালক হয়ত এভাবে অভিনেতা বাছেন। তিনি কিন্তু এই ভাবে কাজ করতে আগ্রহী নন। এবং তাঁর ছবিতেও আর কাজ করেননি কাঞ্চনা। কাঞ্চনা মুখের ওপর এই জবাব দেওয়ার ফলে পরিচালকও আর তাঁর দিকে বেশি ঘেঁষেননি। অভিনেত্রীর দাবি, 'আমি বরাবরের চুজি। লোক বেছে মিশি। কাজ করি। বুঝি, কারা এই ধরনের সমস্যা তৈরি করতে পারে। ফলে, তাদের থেকে আমি নিজেই দূরে থাকি। এবং কেউ অপমান করলে এতটাই স্পষ্ট ভাষায় জবাব দিই যে  #Me Too বা #You Too আন্দোলনের দিকে আমায় হাঁটতে হয় না।'

এই প্রসঙ্গে কাঞ্চনা আরও বলেন, 'যৌন হেনস্থার শিকার মেয়েরা আজ নয় যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছেন। আমি তখন ট্রামে-বাসে যাতাযাত করি। একবার এক ভদ্রলোক বাসের মধ্যে আমায় হেনস্থা করেন। সঙ্গে তাঁর সঙ্গিনীও ছিলেন। প্রতিবাদ করায় সঙ্গিনী সঙ্গে সঙ্গে অকথ্য ভাষায় গালি দিতে থাকেন আমায়! সেদিন অবাক হয়েছিলাম এক মেয়ের প্রতি আরেক মেয়ের এই আচরণে। আপনজনের অন্যায় মেয়েরা এভাবে ঢাকলে অন্যায়ের প্রতিবাদ হবে কেমন করে?'

#metoo: ‘রূপাঞ্জনাকে নিয়ে কথা বলার প্রবৃত্তি নেই', অরিন্দম শীল

অভিনেত্রীর আরও অভিযোগ, 'শারীরিক হেনস্থাই শুধু হেনস্থা আর তার প্রতিবাদ দরকার---আমি কিন্তু তেমনটা মনে করি না। মানসিক যৌন হেনস্থাও একই রকমের অপমানজনক মেয়েদের পক্ষে। অনেক পুরুষকে দেখেছি পুরুষ-মহিলা সঙ্গী নিয়ে আড্ডা মারার সময় যৌনগন্ধি জোকস বলেন। এবং মেয়েরাও সেটা বেশ উপভোগ করেন। এটা কেন হবে? এতে কিন্তু ছেলেরা আরও উৎসাহী হয়ে ওঠেন। মেয়েটিকেও সহজলভ্য মনে করেন। এটা হওয়া উচিত নয়।'

হলিউড প্রথম পথ দেখিয়েছিল #Me Too আন্দোলনের। হলিউডের প্রতিবাদ ২০১৮-য় পৌঁছে যায় বলিউডে। তনুশ্রী দত্ত, মধু মন্টেনা, বিনিতা নন্দার মতো বলিউডের বহু বিশিষ্ট আঙুল নানা পাটেকর, অলোকনাথ, সুভাষ ঘাই, অনু মালিক সহ আরও বহুজনের দিকে। এই অভিযোগের হাত থেকে রেহাই পাননি এমজে আকবরের মতো দুঁদে রাজনীতিবিদও। এই আন্দোলন কি হলিউড বা বলিউডের মতোই জোরদার হবে টলিপাড়াতেও? সেটাই এখন দেখার।  

.