এনজে আকবরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তোলেন প্রিয়া রামানি
হাইলাইটস
- এমজে আকবরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন প্রিয়া রামানি
- পরিকল্পনামাফিক, ভিত্তিহীন, দাবি করে পাল্টা মামলা করেন এমজে আকবর
- “যা প্রকাশ করেছি, জনস্বার্থে এবং মানুষের ভালোর জন্য”, বললেন প্রিয়া রামানি
নয়াদিল্লি: প্রাক্তন সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয়মন্ত্রী এমজে আকবরের (MJ Akbar) বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন সাংবাদিক প্রিয়া রামানি (Priya Ramani)। সোমবার প্রিয়া রামানি বলেন, ঘটনার পরে, দুদশক আগেই তিনি মুখ খুলেছিলেন, যাতে এই ধরের ঘটনা ঘটলে মুখ খুলতে সাহস পান অন্যান্য মহিলারা। এমজে আকবরের আইনজীবীর জিজ্ঞাসাবাদের সময়, প্রিয়া রামানি বলেন, কর্মক্ষেত্রে যোন হয়রানির বিরুদ্ধে মুখ খোলার প্রয়োজন মহিলাদের, তাঁর দাবি, তিনি যে সমস্ত বিষয় প্রকাশ্যে এনেছেন, তাতে মহিলাদের ক্ষমতা বাড়বে এবং তাঁদের অধিকার সম্পর্কে বুঝতে সহায়তা করবে। ভারতে মি টু আন্দোলন (MeToo) চলার সময়, ২০১৮ এ কেন্দ্রীয়মন্ত্রী অএমজে আকবরের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন প্রিয়া রামানি। তারপরেই, প্রিয়া রামানির অভিযোগ পরিকল্পনামাফিক এবং প্রতিহিংসামূলক, বলে দাবি করে মামলা করেন এমজে আকবর।
মামলার ৪১ পাতার আবেদনে, এমজে আকবর বলেন, ৪০ বছর ধরে তাঁর তৈরি করা ভাবমূর্তি এবং সুনাম নষ্ট হয়ে গিয়েছে, শুধুমাত্র প্রিয়া রামানির ট্যুইট এবং খবরের কাগজের একটি নিবন্ধের কারণে। নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিদেশমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী পদ থেকেও সরে যেতে হয় এমজে আকবরকে।
সোমবার দিল্লি আদালতের বিচারক সমর বিশালকে প্রিয়া রামানি বলেন, “এমজে আকবর সম্পর্কে, জনস্বার্থে এবং মানুষের ভালোর জন্য আমি যা বলেছি, সবই সত্য বলেছি। এটা আমার আশা ছিল যে, এই সত্যপ্রকাশ মিটু আন্দোলনের একটি অংশ হয়ে উঠছিল, তা মহিলালাদের ক্ষমতা প্রদান করবে এবং কর্মক্ষেত্রে নিজেদের অধিকার সম্পর্কে মহিলাদের আরও ভাল করে বুঝতে সাহায্য করবে”।
তিনি বলেন, এই মামলাটিতে তাঁকে অনেক ব্যক্তিগত মূল্য চোকাতে হয়েছে। প্রিয়া রামানি আরও বলেন, “এর থেকে আমার কিছু পাওয়ার নেই”, তাঁর কথায়, “চুপ করে থেকে, আমি লক্ষ হওয়া এড়াতে পারতাম, তবে সেটা করা ঠিক হত না”।
আদালতের বিবৃতিতে, প্রিয়া রামানি বলেন, চাকরির ইন্টারভিউয়ের জন্য হোটেলের বেডরুমে তাঁকে ডেকে পাঠান এমজে আকবর এবং তাঁর সঙ্গে অসঙ্গত আচরণ করেন।
তিনি বলেন,”যখন আমি তাঁর ঘরে যাই, বিশেষ করে তাঁর বেডরুমে, আমার খুবই অস্বস্তি হচ্ছিল, এবং বারবার অপ্রীতিকর এমজে আকবরের ব্যক্তিগত কথা, , তাঁর অ্যালকোহল পানের অফার এবং তাঁর জোরে গান গাওয়া, আমাকে কাছে বসানোর আহ্বান করায় আমি নিরাপদ মনে করছিলাম না”।