কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের ছ’জন পড়ুয়ার অনির্দিষ্টকালের অনশন ষষ্ঠ দিনে পড়ল। বিক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের এই অনশন চলছে নতুন হোস্টেলের দাবিতে। তাদের দাবি, ওই হোস্টেল কেবলমাত্র প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের জন্যই বরাদ্দ করা হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ উচ্ছল ভদ্র নতুন একটি আবেদনের মাধ্যমে গতকাল পড়ুয়াদের অনশন তুলে নেওয়ার অনুরোধ করেন। “প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের প্রবেশিকা পরীক্ষা চলছে এখন।
এই সময় পড়ুয়াদের কাছে এই অনশন তুলে নেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি আমি। আমরা তাদের সমস্যাটি অত্যন্ত সহানুভূতির সঙ্গেই বিবেচনা করে দেখব বলে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। আমরা পড়ুয়াদের সঙ্গে এই সংক্রান্ত যে কোনও আলোচনার জন্যও প্রস্তুত। গত তেরোই জুলাইও এই ব্যাপারে আলোচনা হয়েছিল। আমাদের দরজা পড়ুয়াদের জন্য সর্বদা খোলা”, বলেন তিনি।
অনশনরত পড়ুয়াদের মধ্যে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়ারা রয়েছে। নবনির্মিত হোস্টেল কমপ্লেক্সের তাদের থাকার জায়গার ব্যবস্থা করার দাবিতেই এই অনশন। তাদের দাবি, নতুন হোস্টেলে থাকার জায়গার কোনও অভাব নেই। অথচ, তাদের সেই পুরনো হোস্টেলেই থাকতে এক প্রকার বাধ্য করা হচ্ছে”।
উচ্ছল ভদ্র সাংবাদিকদের বলেন, “যে সব পড়ুয়ার পুরনো হোস্টেলটিতে থাকতে সমস্যা হচ্ছে, তাদের সুবিধার কথা ভেবেই খুব তাড়াতাড়িই ওই ভবনটির সংস্কার করে দেওয়া হবে”। তিনি এর আগে জানিয়েছিলেন, মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া (এমসিআই)-এর নীতি অনুসারে জুনিয়র ও সিনিয়র পড়ুয়ারা এক ভবনে থাকতে পারবে না। র্যাগিং আটকানোর জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মেডিক্যাল কাউন্সিল। তিনি আরও বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াদের সব ধরনের সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু কোনওভাবেই তাদের জন্য নতুন ভবনে স্থান সংকুলান করা সম্ভব হবে না।
অপরদিকে, পড়ুয়াদের কথায়, “আমাদের দাবি থেকে আমরা কোনওভাবেই পিছিয়ে আসছি না”।
ইতিমধ্যেই দুজন অনশনরত পড়ুয়া অনশনের চারদিনের মাথায় অসুস্থ হয়ে পড়ে। ওই দুজন, আপন সামন্ত এবং সৌম্যদীপ রায়কে গত তেরোই জুলাই হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।
ওই দুজন পড়ুয়া হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তাদের জায়গায় আরও দুজন পড়ুয়া অনশনে বসেছে। গত পাঁচই জুলাই মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে। পরে, পুলিশ দিয়ে ওই ঘেরাও তুলে দেওয়া হয়।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)