தமிழில் படிக்க Read in English
This Article is From Jan 19, 2019

মমতার ডাকে বিজেপি বিরোধী সমাবেশ আজ, দশটি তথ্য

শুক্রবার রাত থেকেই রাস্তায় নেমেছে পুলিশ। শহরের বিভিন্ন রাস্তায় বেশি পরিমাণে পুলিশ কর্মী চোখে পড়েছে।

Advertisement
Kolkata (with inputs from Agencies)

নিরাপত্তা দিতে ব্রিগেড চত্বরটিকে ২২টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। 

Highlights

  • আজকের এই সমাবেশে ৪০ লক্ষ লোক হবে দাবি তৃণমূলের
  • প্রায় গোটা দেশ থেকেই এসেছেন বিজেপি বিরোধী দলের নেতারা
  • শুধু ব্রিগেড বা ধর্মতলা নয় প্রায় গোটা কলকাতাই কার্যত নিরাপত্তার ঘেরাটোপে
আজ তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশ। সাত মাস ধরে এই সমাবেশের প্রস্তুতি সেরেছে তৃণমূল। আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন গত চার দশকে এতবড় সভা পূর্ব ভারতের কোথাও হয়নি। আর সেই মতো প্রায় গোটা দেশ থেকেই এসেছেন বিজেপি বিরোধী দলের নেতারা। খাতায় কলমে এখনও পদ্ম শিবিরে থাকা শত্রুঘ্ন সিনহা থেকে শুরু করে একদা বিজেপির বড় নেতা যশবন্ত সিনহারাও থাকছেন মঞ্চে। এত বড় সভা যখন নিরাপত্তার কড়াকড়ি তো থাকবেই। শুধু ব্রিগেড বা ধর্মতলা নয় প্রায় গোটা কলকাতাই কার্যত নিরাপত্তার ঘেরাটোপে। সভা সকালে হলেও শুক্রবার রাত থেকেই রাস্তায় নেমেছে পুলিশ। শহরের বিভিন্ন রাস্তায় বেশি পরিমাণে পুলিশ কর্মী চোখে পড়েছে।

রইল দশটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

  1. গত বছর ২১ জুলাই ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে আয়োজিত শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে এই সভার কথা করেন তৃণমূল  সুপ্রিমো মমতা  বন্দ্যোপাধ্যায়। সভার  সমস্ত আয়োজন ভাল ভাবে করতে কমিটিও গড়ে দিয়েছিল  তৃণমূল।

  2.  বিজেপি বিরোধী সভা সফল করার ব্যাপারে প্রথম থেকেই আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে  আছেন মুখ্যমন্ত্রী। কংগ্রেস থেকে শুরু করে অন্য বিরোধী দলগুলির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে  দেখা করে নিমন্ত্রণ জানান মমতা।

  3. সভাকে ইউনাইটেড ইন্ডিয়া র‍্যালি বলা হচ্ছে। এই সভা থেকে  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে  প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তুলে  ধরার কাজ করছে  তৃণমূল।

  4. সভায় থাকছেন  এইচ ডি দেবেগৌড়া, অখিলেশ যাদব, শরদ পাওয়ার, এম কে স্ট্যালিন থেকে শুরু করে আরও অনেকে।  প্রফুল্ল প্যাটেল, হার্দিক প্যাটেল, জিগনেশ মেভানিও থাকছেন। এছাড়া বিরোধী জোট গঠনে সক্রিয় চন্দ্রবাবু নায়ডু থেকে শুরু করে অরবিন্দ কেজরিওয়ালরাও মঞ্চে থাকবেন। ;

  5. সভার আগেই সমর্থনের বার্তা পাঠিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীকে দিদি সম্বোধন করে রাহুল লেখেন বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে বার্তা  দেওয়ার সময় এসেছে।  কংগ্রেসের প্রতিনিধিও হাজির থাকছেন সভা মঞ্চে। মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং অভিষেক মনু সিংহভি ইতিমধ্যেই কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন। তবে  সভা  থেকে দূরেই থাকছে প্রদেশ কংগ্রেস।

  6. Advertisement
  7.  এই সভাকে কটাক্ষ করেছে  বিজেপি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন ইতিহাসে চলে  যাওয়া নেতাদের নিয়ে এসে সার্কাস করা হচ্ছে। এই সভার পাল্টা ৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশ করবে বিজেপিও। বক্তা হিসেবে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

  8. কলকাতায় এসে অখিলেশ বলেন,  গোটা দেশ অপেক্ষা করে আছে নতুন প্রধানমন্ত্রীর জন্য। অপেক্ষা করে আছে একটা দারুণ পরিবর্তনের জন্য। যে পরিবর্তনের ধ্বনি অত্যন্ত সুষ্পষ্টভাবে উঠবে ব্রিগেডের সভা মঞ্চ থেকে।

  9.  দেবেগৌড়া বলেন মমতা  সমস্ত  দলকে এক ছাতার তলায় আনার কাজ করছেন। তিনি চান এই সরকারকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষ সরকার স্থাপন করতে চান। আমি তাঁকে সংগ্রাম করতে  দেখেছি। দেশের মানুষ প্রতিদান দেবে।

  10. দু'দিন আগে  ব্রিগেডে সভার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে  বিজেপিকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, এই ব্রিগেড থেকেই ১৯ জানুয়ারি বিজেপি শুনবে মৃত্যুর ঘন্টাধ্বনি।  বিজেপির আসনসংখ্যা কিছুতেই ১২৫'এর বেশি হবে না। যদি পায়, সেটাও অনেক বেশি। আঞ্চলিক দলগুলি বিজেপির থেকে অনেক বেশি আসনে জয়ী হবে।  "আঞ্চলিক দলগুলিই এবারের সরকার গড়ায় বড় ভূমিকা নেবে। নির্বাচনের পরেই তা বোঝা যাবে"। 

  11. সভার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন ১০ হাজার পুলিশ কর্মী। মোট ৪০০টি জায়গায় বসানো হচ্ছে পুলিশ পিকেট। এছাড়া এইচআরএফএস এবং কিউআরএফটি-র বেশ কয়েকটি টিমও তৈরি থাকছে। পাশাপাশি ভিড় সামলাবেন হাজার তিনেক তৃণমূল কর্মী।

Advertisement