This Article is From Mar 08, 2020

আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আগে একসঙ্গে কেন গর্জে উঠলেন দুই বাংলার পুরুষরা?

নারী দিবসের প্রাক্কালে এক অভিনব দাবিতে গর্জে উঠলেন পুরুষরা তাও আবার দুই বঙ্গের।

Advertisement
Kolkata Reported by , Written by

নারী দিবসের প্রাক্কালে এক অভিনব দাবিতে গর্জে উঠলেন পুরুষরা

Highlights

  • আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ
  • এক অভিনব দাবিতে গর্জে উঠলেন পুরুষরা তাও আবার দুই বঙ্গের
  • অনুষ্ঠানে যোগদান করেছিলেন এপার বাংলা এবং ওপার বাংলার বিশিষ্ট মানুষেরা
কলকাতা:

আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ, ৮ মার্চ। নারীদের এই বিশেষ দিনটিতে নারীর অধিকার, সম্মান, আইনি অধিকারের বিষয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সোচ্চার হয়েছেন মহিলারা। এই বিশেষ দিনটিতে কলকাতায় নানান জায়গায় বিশেষ অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় খোলাখুলি তাদের মতামত রাখছেন মেয়েরা। নারী দিবস তাদের কাছে কী? নারীর অধিকার কতটাই বা তারা পেয়েছেন, কতটা পেতে চান এই নিয়ে তর্ক চলছে রীতিমতো। তবে নারী দিবসের প্রাক্কালে এক অভিনব দাবিতে গর্জে উঠলেন পুরুষরা, তাও আবার দুই বঙ্গের। এপার বাংলা, ওপার বাংলার পুরুষরা সরব হলেন নিজেদের সামাজিক, আইনি, শিক্ষা, সন্তানের অধিকারের দাবিতে। অল বেঙ্গল মেন্স ফোরাম (All Bengal Mens Forum) এবং এইড ফর মেন (Aid for Men) এর উদ্যোগে কলকাতা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত হল পুরুষের অধিকারের দাবিতে একটি আলোচনা সভা। অনুষ্ঠানে যোগদান করেছিলেন এপার বাংলা এবং ওপার বাংলার বিশিষ্ট মানুষেরা। ছিলেন জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় (আইনজীবী, কলকাতা হাইকোর্ট), সত্যজিত ব্যানার্জি (প্রাক্তন ডি সি কলকাতা পুলিশ), ডঃ দিবাকর ঘোষ, অধ্যাপক দেবাঞ্জন ব্যানার্জি,  সুতপা চক্রবর্তী (আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী), দেবজিত সরকার (সিনিয়র লাইফ কোচ),  অরিজিৎ মিত্র (শিশু অধিকার কর্মী)। ছিলেন বাংলাদেশের এইড ফর মেনের পুরুষ অধিকার কর্মীরাও ।

প্রেসক্লাবে আয়োজিত এই পুরুষদের অধিকার আলোচনায় উঠে এল বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের সমাজ পুরুষশাসিত, পুরুষতান্ত্রিক। সেখানে প্রায়ই নারী শোষণের খবর প্রকাশ্যে আসে। গর্জে ওঠেন দেশবাসী। কিন্তু পুরুষ শোষণও তো হচ্ছে পাল্লা দিয়েই। তাহলে তা কেন উঠে আসে না? আলোচনায় উঠে আসে বিষয়টি। লিঙ্গ সাম্যের লড়াই বড়ো জরুরি হয়ে পড়েছে সমাজের সব স্তরে। শুরুতেই অল বেঙ্গল মেনস্ ফোরামের (All Bengal Mens forum) সভাপতি নন্দিনী ভট্টাচার্য সেই প্রসঙ্গে নিজের বক্তব্য রাখেন। এরপর অন্যান্য অতিথিরা নিজেদের বক্তব্য রাখেন। শুরু হয় বিতর্ক। নারী নির্যাতন নিয়ে দ্বিমত নেই কারো কিন্তু একপেশে আইনের কারণে পুরুষ অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন বলেই দাবি বিতর্কসভার। এতে সামাজিক সুস্থতা নষ্ট হচ্ছে । তাই এর অপপ্রয়োগ যাতে বন্ধ হয় সেই চেষ্টা চালাতে হবে বলেই পরামর্শও উঠে আসে। বাংলাদেশ থেকে এসেছিলেন এইডস ফর মেন্স-এর পুরুষ সদস্যরা। তাঁরা বললেন সেই দেশের পুরুষের আইনি ও সামাজিক অসুবিধার কথা। পুরুষের স্বাস্থ্য নিয়েও ছিল বিশেষ আলোচনা । ছিল পুরুষদের হিমোগ্লোবিন পরীক্ষার ব্যবস্থা। নারী দিবসের আগে দুই বাংলার পুরুষরাও নিজেদের অধিকারের দাবিতে গর্জে উঠলেন এই অনুষ্ঠানে।

Advertisement