মিনি বিধানসৌধের সামনে পাকিস্তান-পন্থী স্লোগান তোলার জন্য গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। (প্রতীকী)
ম্যাঙ্গালুরু: পাকিস্তান-পন্থী (Pro-Pakistan Slogan) স্লোগান তুলে আটক হলেন কর্নাটকের এক মধ্যবয়স্ক ব্যক্তি (A Karnataka Man)। জানা গিয়েছে, মানসিক ভারসাম্যহীন ওই ব্যক্তি রাজ্যের উদুপি জেলার কুন্দাপুরের বাসিন্দা। জেলার মিনি বিধানসৌধের সামনে সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ এসে তিনি একাধিকবার পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান তোলেন। এদিন এমনটাই জানিয়েছে জেলা পুলিশ। এরপর করিডরের দিকে গিয়ে একই স্লোগান তুলতে থাকেন। সেই কীর্তির ভিডিও স্থানীয়রা তুলে ভাইরাল করে দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। হেফাজতে নেওয়া হয় ওই ব্যক্তিকে। কুন্দাপুর তহসিলদারও এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মানসিক ভারসাম্যহীন এই ব্যক্তি চিকিৎসাধীন। ৮ বছর আগে অসুস্থতার কারণে স্কুলের শিক্ষকতার চাকরি হারান। হাসপাতালের সঙ্গে কথা বলেই তাঁর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অমিত শাহর সভায় যাওয়ার সময় ‘গোলি মারো' স্লোগান, গ্রেফতার তিন বিজেপি সমর্থক
জেলার পুলিশকর্তা হরিরাম শঙ্কর বলেছেন, চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেই এ ব্যাপারে তদন্ত হবে। পরিবারের দাবি, "খবর-প্রিয় এই লোক, কোনওভাবে টিভিতে কাউকে এই স্লোগান তুলতে দেখেছেন। সেই থেকে অনুপ্রেরণা পেয়ে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।" এর আগে হুবলির এক বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ৩ জন কাশ্মীরি ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। গত মাসে তাঁরাও পাকিস্তান-পন্থী স্লোগান তুলেছিল। পাশাপাশি পুলওয়ামা-কাণ্ডের এক বছর পূর্তি উদযাপনে একটা ভিডিও সোশাল সাইটে পোস্ট করেছিল ওই ৩ পড়ুয়া।
২০ ফেব্রুয়ারি অমূল্য লিওনা নামে এক তরুণী এআইএমআইএম-এর সভামঞ্চ থেকে পাকিস্তান-পন্থী স্লোগান তুলে গ্রেফতার হয়েছেন।পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগানের পাশাপাশি সে রাজ্যের একাধিক দেওয়াল ও বাড়িতে সিএএ'র বিরোধিতা করে একাধিক কারুকার্য ও পটশিল্প চোখে পড়েছে।
Nirbhaya case: আগামিকাল ফাঁসি নয় নির্ভয়াকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্তদের, জানাল দিল্লি আদালত
এদিকে, দেশ বিরোধী স্লোগান তুলতে দেখলেই গুলি মেরে হত্যা করা হোক। এনডিটিভি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন নিদান দিলেন কর্নাটকের মন্ত্রী বিসি পাটিল। তিনি বলেন, "আমরা সরকারকে বলবো অর্ডিন্যান্স আনতে। যাতে বলা থাকবে ভারত-বিরোধী স্লোগান যারা তুলছেন, তাঁদের গুলি চালিয়ে হত্যা করা হোক। এটা এখন ফ্যাশন। কয়েকজন যুবক জনপ্রিয়তা কুড়োতে দেশ ও দেশপ্রেমকে বদনাম করছে।" দিল্লি হিংসার সময়ে এই বিষয়ে একবার সরব হয়েছিলেন ওই মন্ত্রী। অভিযোগ, "মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর আর কয়েকজন বিজেপি নেতার উস্কানিমূলক মন্তব্যের জেরে ছড়িয়েছিল দিল্লিতে হিংসা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, দুজনেই দেশদ্রোহী ও সন্ত্রাসবাদীদের দমনে বন্দুক ব্যবহারের নিদান দিয়েছেন।