#MeToo: সাংবাদিক প্রিয়া রামানি টুইট করে MJ Akbar -এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
হাইলাইটস
- এম জে আকব্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন একাধিক মহিলা
- বিদেশ সফরে থাকায় অভিযোগ সম্পর্কে আকবরের প্রতিক্রিয়া মেলেনি
- কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ইস্তফার দাবিতে সরব বিরোধী দলগুলি
নিউ দিল্লি:
আজ সকালেই দেশে ফিরলেন মিটু (#MeToo)-তে অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এম জে আকবর। বিদেশ সফর শেষ করে দেশে ফেরার পর তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে দিল্লি বিমান বন্দরে সাংবাদিকদের মন্ত্রী বলেন, যা বলার পরে বলব। জানা গিয়েছে তিনি মন্ত্রী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবেন কিনা সেই সিদ্ধান্ত হবে দলীয় স্তরে। গোটা দেশ জুড়ে চলতে থাকা মিটু (#MeToo) আন্দোলোনের ঢেউ আছড়ে পড়েছে বিভিন্ন প্রান্তে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে লব্ধ প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের নামেও উঠে আসছে যৌন নির্যাতনের পুরনো অভিযোগ। সেই তালিকাতেও যুক্ত হয়ে যায় আকবরের নাম। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার আগে দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা করেছেন তিনি। জড়িত ছিলেন বহু প্রকাশনার সঙ্গে।
যৌন হেনস্তার দায়ে অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি কংগ্রেসের
কয়েক দিন আগে 8 অক্টোবর সাংবাদিক প্রিয়া রামানি টুইট করে আকবরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। বছর খানেক আগে একটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রবন্ধে প্রিয়া এই যৌন নির্যাতনের কথা বলেছিলেন। এই টুইটে তিনি বলেন সেই ঘটনার জন্য দায়ী এম জে আকবর। অভিযোগ যখন প্রকাশ্যে আসছে তখন দেশের বাইরে ছিলেন মন্ত্রী তাই এ ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি। এদিকে তাঁর পদত্যাগ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় এখন দুটি মত ঘোরাফেরা করছে। এক পক্ষ তাঁর পদত্যাগ চাইছে। অন্য অংশ বলছে এখনও নিয়ম মাফিক অভিযোগ দায়ের না হওয়ায় এমন কিছু হওয়া উচিত নয়।
এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে। তবে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অভিযোগকারীর পক্ষে সওয়াল করেছেন। স্মৃতি ইরানি বলেছেন যারা অভিযোগ করেছেন তাঁদের লজ্জিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। রামপ্রসাদ অটওয়ালে সরাসরি এম জে –র পদত্যাগ চেয়েছেন। নারী কল্যাণ মন্ত্রী মানেকা গান্ধিও অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চেয়েছেন। শুধু তাই নয় মিটু (#MeToo)- র অভিযোগ শুনতে চার অবসর প্রাপ্ত বিচারপতিকে দিয়ে কমিটি তৈরির কথাও বলেছেন মানেকা। অন্যদিকে, যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠায় আকবরের পদত্যাগের দাবিতে সরব বিরোধী দলগুলি। কংগ্রেস থেকে সিপিএম প্রকাশ্যেই মন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়েছে।