মিটু (#Me too)-তে অভিযুক্ত হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এম জে আকবর। পাল্টা মানহানির মামলা দায়ের করেছেন তিনি। মহিলা সাংবাদিক প্রিয়া রামানীর বিরুদ্ধে আইনি লড়াই লড়ছেন আকবর। তবে তাঁর বিরোধিতায় সরব হওয়ার শপথ নিয়েছেন 20 জন মহিলা সাংবাদিক। এঁরা সকলেই সর্বভারতীয় দৈনিক এশিয়ান এজ-এর সঙ্গে জড়িত। আর ওই সংবাদ পত্রেই টানা বেশ কয়েক বছর সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন এমজে। যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে ওই মহিলা সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, তাঁরা প্রিয়ার পাশে আছেন। সেখানে আরও বলা হয়েছে নিজের আচরণকে স্বীকার না করে আইনি পথে হেঁটে আকবর অনেক মহিলাকে অসীম যন্ত্রণার মধ্যে ঠেলে দিয়েছেন। আর তিনি নিজে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং সাংসদ হিসেবে ক্ষমতা ভোগ করে চলেছেন।
#Me too: কাজে যোগ দিলেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর
এই সাংবাদিকরা আদালতের দ্বারস্থ হয়ে তাঁদের বক্তব্য শোনার অনুরোধ জানিয়েছেন। দাবি করেছেন তাঁদের মধ্যেও এমন মানুষ আছেন যাঁরা আকবরের হাতে হেনস্থার শিকার হয়েছেন। ওই সাংবাদিকদের মনে হয় প্রিয়া রামানী শুধু নিজের কথা বলেননি, সরব হয়েছেন আরও অনেকের হয়ে। এমন দাবিতে সরব হয়েছেন মণিকা বাঘেল, মণিশা পান্ডে, তুষিতা প্যাটেল, কণিকা গহলত, সুতপা শর্মা, রমলা তালওয়ার, হহিনু হাউজেল, আশিয়া খান, কুশলরানি গুলাব। এছাড়া ডেকান ক্রনিকেলের সাংবাদিক ক্রিস্টিনা ফ্রান্সিসেরও নাম আছে বিবৃতিতে ।
#MeToo সাংবাদিক প্রিয়া রামানির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করলেন আকবর
মহাত্মা গান্ধির জন্ম দিবসে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নাইজেরিয়া গিয়েছিলেন মন্ত্রী। সেই সময় মহিলা সাংবাদিকদের যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এম জে আকবরের বিরুদ্ধে। আকবেরর বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ দায়ের করেন প্রিয়া রামানি। পরে একই রকম অভিযোগ আনেন আরও কয়েকজন মহিলা। দেশে ফিরে নিজের বক্তব্য জানান এম জে। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে তোলা অশালীন আচরণের অভিযোগ মিথ্যা। বিদেশে থাকায় আমি আগে জবাব দিতে পারিনি। কোনও প্রমাণ ছাড়া মিথ্যা অভিযোগ করা এখন কিছু মানুষের মধ্যে সংক্রমণের মতো ছড়িয়েছে। কিন্তু এখন আমি দেশে ফিরে এসেছি। এবার আমার আইনজীবীরা যা করার করবেন। আর কয়েক মাস বাদে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে এমন অভিযোগ উঠল কেন? এর নেপথ্যে কোনও কারণ আছে কি? উত্তর আপনারাই দেবেন।
NDTV থেকে প্রকাশিত কোনও তথ্য যদি আপনার শেয়ার করতে ইচ্ছা করে, তাহলে দয়া করে মেল করুন worksecure@ndtv.com