This Article is From Oct 13, 2018

#MeToo Movement- মহিলা সাংবাদিকরা ‘নির্দোষ’ নন! বিতর্কিত মন্তব্য মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেত্রীর

দ্য টেলিগ্রাফ অ্যান্ড এশিয়ান এজের মতো বিশিষ্ট সংবাদপত্রের নেতৃত্বে থাকা প্রাক্তন সম্পাদক এম জে আকবরের বিরুদ্ধে তাঁর অধীনে থাকা মহিলা সহকর্মীদের প্রতি যৌন হেনস্থা ও অশালীন আচরণের অভিযোগ উঠেছে।

#MeToo Movement- মহিলা সাংবাদিকরা ‘নির্দোষ’ নন! বিতর্কিত মন্তব্য মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেত্রীর

মধ্যপ্রদেশে বিজেপির মহিলা বিভাগের প্রধান লতা কেলকার

হাইলাইটস

  • মধ্যপ্রদেশে বিজেপির মহিলা বিভাগের প্রধান লতা কেলকার
  • সাংবাদিক থাকাকালীন নারীদের যৌন হেনস্থার অভিযোগ এম জে আকবরের বিরুদ্ধে
  • আকবরের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন সুষমা স্বরাজ, মেনকা গান্ধী, স্মৃতি ইরানী
ভোপাল:

সাংবাদিকতা করার সময় বহু নারীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে কনিষ্ঠ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম জে আকবরের দিকে, তাঁর পদত্যাগ করার দাবিও উঠেছে নানা মহলে। এমন সময়েই আরেক বিজেপি নেতার আপত্তিজনক মন্তব্য বিষয়টিকে আরও জটিল করে তুলেছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, মধ্যপ্রদেশে বিজেপির মহিলা বিভাগের প্রধান লতা কেলকার বলেছেন যে তিনি নারী সাংবাদিকদের এতখানি নির্দোষ বলে মনে করেন না যে যে কেউ তাঁদের সাথে খারাপ ব্যবহার করবে।

কেলকার আরও বলেছেন যে তিনি #মিটু আন্দোলনকে স্বাগত জানিয়েছেন। সম্প্রতি এই আন্দলনের মধ্যে দিয়েই মহিলারা নিজেদের নানা সময়ের যৌন হয়রানির ঘটনায় শক্তিশালী এবং প্রভাবশালী ভারতীয় পুরুষদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ধরেছেন। এই আন্দোলন নিজের হেনস্থার কথা প্রকাশ্যে বলার ক্ষমতা জুগিয়েছে।

দ্য টেলিগ্রাফ অ্যান্ড এশিয়ান এজের মতো বিশিষ্ট সংবাদপত্রের নেতৃত্বে থাকা প্রাক্তন সম্পাদক এম জে আকবরের বিরুদ্ধে তাঁর অধীনে থাকা মহিলা সহকর্মীদের প্রতি বিশেষ করে নতুন আসা মহিলা সহকর্মীদের প্রতি যৌন হেনস্থা ও অশালীন আচরণের অভিযোগ উঠেছে।

আকবরের উর্ধ্বতন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ তাঁর উপর ওঠা নানা অভযোগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। প্রশ্ন তুলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ ও স্মৃতি ইরানীও। নারী ও শিশু কল্যাণ বিভাগের মন্ত্রী মেনকা গান্ধী, আকবরের বিরুদ্ধে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। বিরোধীদলীয় নেতারা আকবরের পদত্যাগের দাবি করেছেন।

10 বছর আগে একটি সিনেমার সেটে অভিনেতা নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণের অভিযোগ তোলেন প্রাক্তন অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত। এর পর থেকেই ভারতে গতি পায় #MeToo আন্দোলন। সোশ্যাল মিডিয়াতে #MeToo এর হাত ধরে একের পর এক এমনই ঘটনা উঠে আসছে সকলের সামনে। নানান কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা প্রভাবশালী পুরুষদের আসল চেহারা প্রকাশ্যে আসছে। বাদ পড়ছে না চলচ্চিত্র, সাহিত্য, সাংবাদিকতা ও বিনোদনের পেশাও।

.