Me Too in India: প্রায় এক ডজন মহিলা আকবরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছেন।
হাইলাইটস
- পদত্যাগ করছেন না কেন্দ্রীয় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর
- রোধী দলের তরফে তাঁর পদত্যাগের দাবিও উঠেছে
- 8 অক্টোবর সাংবাদিক প্রিয়া রামানি টুইটারে প্রথম অভিযোগ করেন
নিউ দিল্লি:
তাঁর পদত্যাগের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে রবিবার কেন্দ্রীয় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী তথা সাংবাদিক এমজে আকবর বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং হতাশাব্যঞ্জক’। নির্বাচনের ঠিক আগেই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জবাবে তিনি জানান, অভিযোগকারিণীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। সূত্র জানিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে সরকারের কিছুই করার নেই। এবং, এই মুহূর্তে তাঁর পদত্যাগ খারাপ উদাহরণ স্থাপন করতে পারে। 67 বছর বয়সী এমজে আকবর নাইজেরিয়া সফরে ছিলেন। ওই সময়ই তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার একের পর এক অভিযোগ উঠতে থাকে। সোশ্যাল মিডিয়ার #MeToo আন্দোলনের অংশ হিসেবেই উঠে আসে এই অভিযোগগুলি।
রইল দশটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
“নির্বাচনের ঠিক আগেই এই অভিযোগগুলি উঠে আসছে কেন? এর পিছনে কোন উদ্দেশ্য লুকিয়ে আছে? আপনারা নিজেই বিচার করুন। সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ। প্রবল হতাশাব্যঞ্জকও। আমি উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা নেব”, বলেন এমজে আকবর।
- দ্য টেলিগ্রাফ, দ্য এশিয়ান এজ-এর মতো সংবাদপত্রের নেতৃত্বের দায়িত্বে থাকা এমজে আকবরের বিরুদ্ধে অল্পবয়সী এবং পেশায় নতুন আসা মহিলাদের যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, তিনি ওই মহিলাদের ফোন করে নিজের হোটেলের ঘরেও ডেকেছিলেন চাকরির ইন্টারভিউ নেবেন বলে।
- গত আটই অক্টোবর সাংবাদিক প্রিয়া রামানি টুইট করে জানান, গত বছর তিনি একটি ম্যাগাজিনের আর্টিকলে নাম না করে যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন, তিনি এমজে আকবর।
- প্রিয়া রামানি ছাড়াও এমজে আকবরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন প্রেরণা সিং বিন্দ্রা, গাজালা ওয়াহাব, সুতপা পাল, অঞ্জু ভারতী, সুপর্ণা শর্মা, শুমা রাহা, মালিনী ভুপটা, কণিকা গেহলৌত, কাদম্বরী এম ওয়াডে, মাজলি দে পুয়ো কাম্প এবং রুথ ডেভিড
- “প্রিয়া রামানি এই আন্দোলন শুরু করেছিলেন এক বছর আগে। একটি ম্যাগাজিনে লেখা আর্টিকলের মাধ্যমে। উনি আমার নাম তখন করেননি, কারণ, উনি জানতেন এটা একটা ভিত্তিহীন ঘটনা। কেন উনি আমার নাম তখন করেননি প্রশ্নের জবাবে উনি টুইটারে বলেছেন- আমি ওঁর নাম করিনি, কারণ উনি কিছুই ‘করেননি’। তা, আমি যদি কিছু না-ই করি, তাহলে গল্পটাই বা এলো কোথা থেকে?” প্রশ্ন করেন এমজে আকবর।
গত সপ্তাহে দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান স্বাতী মালিওয়াল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে এমজের পদত্যাগ চেয়েছেন। চিঠিতে স্বাতী লিখেছেন আমার মনে হয় এম জে আকবর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।
বিদেশ প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে মন্তব্য করেননি বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। তবে ব্যক্তিগত ভাবে কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মন্তব্য করেছেন। তদন্ত চেয়েছেন নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী মানেকা গান্ধি ।
কিছু দিন আগে অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেন। অভিনেত্রীর দাবি দশ বছর আগে এই ঘটনা ঘটেছিল। তখন থেকেই শুরু হল মিটু আন্দোলোন।
এই আন্দোলনের জেরে কার্যত বেসামাল সোশ্যাল মিডিয়া। প্রবল তর্ক শুরু হয়েছে।
অভিযোগ করার পর অনেকেই পোস্ট প্রত্যাহার করেছেন। তবে কয়েকজন পুরুষকে ক্ষমাও চাইতে হয়েছে।
Post a comment