#MeToo: ঘটনাটি নাকি ওই অধ্যাপকের বাড়িতে ঘটেছিল বলে অভিযোগ
Kolkata: কলকাতার একটি নামী বেসরকারি কলেজের (Heritage College) তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রী থিয়েটারের অধ্যাপক সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করলেন। ৫৫ বছর বয়সী ওই অধ্যাপক (Sudipto Chatterjee) একজন প্রখ্যাত নাট্য অভিনেতা এবং পণ্ডিত। তিনি কলেজে তাঁর বিরুদ্ধে ওই (MeToo) অভিযোগ জমা পড়ার পরের দিনই অধ্যাপক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। জানা গেছে, অভিযুক্ত অধ্যাপক সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়েও শিক্ষকতা করেছেন, বর্তমানে হেরিটেজ কলেজে পড়াতেন তিনি। নিগৃহীতা ছাত্রী যাতে উপযুক্ত বিচার পায় সেই দাবিতে কলেজ ক্যাম্পাসের ভিতরে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ দেখায়।
ওই ছাত্রী গত ১৪ অক্টোবর তাঁর অভিযোগ দায়ের করেছিল এবং বুধবার ওই যৌন নির্যাতনের ঘটনার বিবরণ তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন, তারপরেই ওই পোস্টটি ভাইরাল হয়ে যায়। অভিযোগ দায়েরের পরদিনই অভিযুক্ত অধ্যাপক ইস্তফা দিয়েছেন।
ভিনতা নন্দার অভিযোগের ভিত্তিতে আলোক নাথের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের
ওই ছাত্রীর অভিযোগ তিনি একা নন, ওই অধ্যাপকের লালসার শিকার হয়েছেন আরও অনেক ছাত্রী। জানা গেছে, এই ঘটনার পর তাঁরাও সম্মিলিত ভাবে ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করবেন।
গত মার্চ মাসে অধ্যাপক সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতেই যৌন হেনস্থার শিকার হন ওই ছাত্রী। ঘটনার পরেই তিনি আতঙ্কে নিজেকে গুটিয়ে নেন। এর বেশ কয়েকমাস পর, প্রাথমিক জড়তা কাটিয়ে উঠে অভিযুক্ত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অক্টোবর মাসে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান তিনি।
MeToo: প্রিয়ার সঙ্গে হোটেলে দেখাই হয়নি, জানালেন এমজে আকবর
ওই ছাত্রী নিজের পোস্টে একথাও বলেন যে, ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর যেভাবে কলেজ কর্তৃপক্ষ আচরণ করেছিল তাতে তিনি বিচলিত হয়ে পড়েন এবং তিনি একথাও জানান যে তাঁর অভিযোগ করার পরের দিনই যেভাবে ওই অধ্যাপককে পদত্যাগ করার অনুমতি দেওয়া হয় তাতেও হতাশ তিনি।
কলেজ কর্তৃপক্ষ এখনও এই বিষয়ে সেভাবে কোনও বিবৃতি না দিলেও, নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাঁরা বলেছেন যে, এই ঘটনায় হতবাক তাঁরা। কর্তৃপক্ষের মতে, শিক্ষার্থীটি অভিযোগ করার পরে কলেজের মানবসম্পদ বিভাগ অভিযুক্ত অধ্যাপককে ডেকে এনে জানায় যে কলেজে এই ধরণের যৌন নির্যাতনের ঘটনা মেনে নেওয়া হবে না। আর তারপরেই সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায় তাঁর ইস্তফা পত্রটি জমা দেন। জানা গেছে, ওই অভিযোগের পর ঘটনার তদন্ত করতে কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটি পুনর্গঠন করেছে। কেননা এর আগে গঠিত ওই কমিটিতে ইউজিসির নির্দেশিকাঅনুসারে কেনও ছাত্র প্রতিনিধি ছিলেন না।
"আমরা ওই ছাত্রীকে অবশ্যই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার কথা বলি এবং আমাদের কাছ থেকে সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আমরা তাঁকে সমর্থন করব," , জানিয়েছেন কলেজের এক আধিকারিক।
তবে অভিযুক্ত অধ্যাপকের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
তবে ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে আরও দু'জন মহিলা সোশ্যাল সাইটের মাধ্যমে নিজেদের হেনস্থা হওয়ার ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন।
দেখুন ভিডিও: