This Article is From Nov 29, 2019

এক লিটার দুধে এক বালতি জল! Mid-Day Meal-এ এটাই খাবার পড়ুয়াদের

এক লিটার প্যাকেট দুধে এক বালতি জল মিশিয়ে ৮১ জন পড়ুয়াকে খাবার হিসেবে দেওয়া হচ্ছে নিত্যদিন।

Mid-day meal: উত্তরপ্রদেশ স্কুলে পড়ুয়াদের খাবার জল মেশানো দুধ

লখনউ:

কোনও গোয়ালঘরের ছবি নয়। স্কুলে বাচ্চাদের mid-day meal-এ এভাবেই রমরমিয়ে চলছে ভেজালের কারবার। এক লিটার প্যাকেট দুধে এক বালতি জল মিশিয়ে ৮৫ জন পড়ুয়াকে খাবার হিসেবে দেওয়া হচ্ছে নিত্যদিন। উত্তরপ্রদেশের শোনভদ্র জেলার স্থানীয় স্কুলের কীর্তি ভিডিও আকারে ফাঁস হতেই তীব্র নিন্দায় সরব সবাই। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে ফের।  

স্বামী তালাক দিতেই শ্বশুরবাড়িতে গণধর্ষিত ঘরের বউ

এমনিতেই শোনভদ্র উত্তরপ্রদেশের সবচেয়ে অনুন্নত এলাকা। স্থানীয় সমাজকর্মীদের দাবি, গরিব পরিবারের বাচ্চারা ভালো খাবারের জন্য নির্ভর করে থাকে সরকারি স্কুলের মিড ডে মিলের ওপর। গ্রাম পঞ্চায়েতের কোনও সদস্যের তোলা এই ভিডিওয় দেখানো হয়েছে,  একটি বড় পাত্রে জল ফুটছে। প্যাকেটজাত দুধ তার মধ্যেদিয়ে ভালো করে হাতা দিয়ে নেড়ে দুধ-জল মিশিয়ে দিচ্ছেন যিনি রান্না করছেন। ঠিকমতো পুরোটা মিশতেই তিনি আঁচ থেকে পাত্র নামিয়ে পরিবেশন করছেন সবাইকে।  

এদিকে পড়ুয়ারা অধীর আগ্রহে হাতে স্টিলের গ্লাস হাতে অপেক্ষায় গরম গরম দুধ খাবে বলে। বদলে যে ভেজাল দুধ তাদের গ্লাসে ভরে দেওয়া হচ্ছে, সেখবর কে রাখে! রোজ এভাবেই আধগ্লাস ভেজাল দুধ খেয়ে পেট ভরাচ্ছে তারা। খবর, বুধবার সোনভদ্রা জেলার চোপান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৭১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ভেজাল দুধ খেয়েছে ৮১ জন।

j7qg23lo

মিড ডে মিলের এই ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। মাস দুই আগে এক সাংবাদিকের তোলা ভিডিওয় দেখা গেছিল, পড়ুয়াদের. নুন দিয়ে রুটি খেতে দেওয়া হয়েছে উত্তরপ্রদেশের এক স্কুলে। পরে সেই সাংবাদিককে গ্রেফতার করে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। বলে, মুখ্যমন্ত্রীর নামে অপপ্রচার করতেই এই ধরনের ভিডিও বানানো হয়েছে।

রাস্তায় দুষ্টুমি, ৪ বছরের মেয়েকে পিটিয়ে খুন সৎ বাবার

জেলা প্রশাসন এবিষয়ে জানিয়েছে, খবর পাওয়ামাত্র আরও দুধ সরবরাহ করা হয় বিদ্যালয়ে। তারপরেও কেন ভজাল দুধ খেতে হয়েছে পড়ুয়াদের, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। স্কুলের শিক্ষকদের দাবি, দুধ যে অপর্যাপ্ত পরিমাণে ছিল সেই খবর সম্ভবত পাননি রাঁধুনি। তাই তিনি সবার মুখে দুধ তুলে দিতে গিয়ে এই কাজ করতে বাধ্য হয়েছেন। অপরপক্ষে রাঁধুনি জানান, পরে যে আরও দুধ সরবরাহ করা হয়েছে তা তিনি নাকি জানতেনই না!

.