Read in English
This Article is From Dec 11, 2019

কুসংস্কার! দু'মুখো সাপকে উদ্ধার করতে বন বিভাগকে বাধা গ্রামবাসীদের!

এই প্রজাতির সাপকে বাংলায় খড়িশ সাপও বলা হয়ে থাকে, হিন্দিতে কেউটে বলা হয়। আবার এই সাপেরই বিষ থাকলে সেটিকে কাল নাগ নামে ডাকা হয়।

Advertisement
অফবিট Edited by

এই প্রজাতির সাপকে বাংলায় খড়িশ সাপও বলা হয়ে থাকে, আবার এই সাপেরই বিষ থাকলে সেটিকে কাল নাগ নামে ডাকা হয়।

মেদিনীপুর :

দু'মুখো সাপ (two-headed snake) নিয়ে নানা গল্প প্রচলিত বাংলার গ্রামে গঞ্জে। শারীরিক ত্রুটিযুক্ত এমনি এক সাপ সম্প্রতি উদ্ধার হয়েছে মেদিনীপুর শহরের একটি গ্রামে (Midnapore Ekarukhi Village)। কিন্তু কুসংস্কারে বিশ্বাসী মানুষদের জোরাজুরিতে জোড়া মাথার সাপটিকে উদ্ধার করতে অক্ষম বন বিভাগ। বন বিভাগের সরীসৃপ বিশারদ কৌস্তভ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, তিনি সাপটিকে কিছুতেই উদ্ধার করতে পারেননি। কৌস্তভ জানিয়েছেন, পৌরাণিক কাহিনীতে বিশ্বাসী একারুখি গ্রামের বাসিন্দারা কিছুতেই এই সাপটিকে বন বিভাগের কাছে তুলে দিতে চাননি। “এটি সম্পূর্ণরূপে একটি জৈবিক সমস্যা। আমরা অনেক সময়েই দেখি একজন মানুষের দু'টি মাথা, বা দু'টো বুড়ো আঙুল রয়েছে। একইভাবে এই সাপেরও দুটি মাথা রয়েছে। এর সঙ্গে পৌরাণিক বিশ্বাসের কোনও সম্পর্ক নেই। এ জাতীয় প্রজাতিকে আলাদা করে রাখলে তাদের আয়ু বৃদ্ধি পায়। সংরক্ষণ করা হলে এই সাপের আয়ু বাড়ানো যেতে পারে,” বলেন কৌস্তভ চক্রবর্তী।

 গোখরোর মুখে পড়ে সাংঘাতিক লংজাম্প! খাদ্য-খাদকের চরম মুহূর্তের ভিডিও ভাইরাল

প্রাণিবিজ্ঞানী সোমা চক্রবর্তীর মতে, দুই মাথাওয়ালা এই সাপ ন্যাজা কটিয়া প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত। “এই প্রজাতির সাপকে বাংলায় খড়িশ সাপও বলা হয়ে থাকে, হিন্দিতে কেউটে বলা হয়। আবার এই সাপেরই বিষ থাকলে সেটিকে কাল নাগ নামে ডাকা হয়। এই ক্ষেত্রে কোনও পৌরাণিক বিষয় নেই। সাপের দু'টি মাথা হওয়ার পিছনে অনেকগুলিই কারণ রয়েছে। হতে পারে ভ্রূণের বিভাজনের সময় মাথা দু'টো হয়ে গিয়েছে। আবার কিছু পরিবেশগত কারণেও দু'মুখো হওয়া সম্ভব,” বলেন সোমা চক্রবর্তী।

Advertisement
Advertisement