हिंदी में पढ़ें Read in English
This Article is From May 11, 2020

১,০০০ কিমি দূরে বাড়ি ফিরতে সাইকেলে যাত্রা, পথের ধারে খাওয়ার সময় দুর্ঘটনায় মৃত পরিযায়ী শ্রমিক

দিল্লি থেকে বিহারের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত চম্পারণে নিজের গ্রামে আর ফেলা হল না ওই শ্রমিকের। পথেই এক গাড়ির ধাক্কায় মারা গেলেন তিনি।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Reported by , Edited by

হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু হওয়ার পরে মারা যান সাগির।

Highlights

  • মৃত যুবকের নাম সাগির আনসারি
  • বিহারের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত চম্পারণে নিজের গ্রামে আর ফেরা হল না তাঁর
  • সাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনায় হারাতে হল প্রাণ
লখনউ:

দেশব্যাপী লকডাউন (Lockdown) জারি হওয়ার পর থেকেই বারবার সামনে এসেছে অর্থ, খাদ্য ও বাসস্থানের অভাবে ভুগতে থাকা ঘরে ফিরতে চাওয়া পরিযায়ী (Migrant) শ্রমিকদের দুরবস্থার কথা। এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে ফিরতে চাওয়া পরিযায়ীদের অসহায় পরিস্থিতির আর এক মর্মন্তুদ ছবি এবার ধরা পড়ল আরও একবার। ক'দিন আগেই রেললাইনে ঘুমন্ত শ্রমিকদের উপর দিয়ে চলে গিয়েছিল ট্রেন। এবার দিল্লির এক পরিযায়ী শ্রমিক, যিনি সাইকেলে ১,০০০ কিমি দূরে অবস্থিত তাঁর গ্রামে ফেরার কথা ভেবেছিলেন দুর্ঘটনার বলি হতে হল তাঁকে। দিল্লি থেকে বিহারের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত চম্পারণে নিজের গ্রামে আর ফেলা হল না ওই শ্রমিকের। পথেই এক গাড়ির ধাক্কায় মারা গেলেন তিনি।

লকডাউন অমান্য করে গাড়িতে মেরিন ড্রাইভ! বন্ধুর সঙ্গে গ্রেফতার পুনম পাণ্ডে

মৃত যুবকের নাম সাগির আনসারি। বয়স ২৬। দুর্ঘটনা ঘটেছে লখনউয়ে। সাগির ও তাঁর বন্ধুরা লকডাউনের কারণে কর্মহারা হয়ে পড়েছিলেন। এরপর সাত বন্ধুর সঙ্গে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন সাগির। সাইকেলেই পৌঁছতে চেয়েছিলেন গ্রামে, নিজেদের বাড়িতে।

Advertisement

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার নতুন শিকার ৪,২১৩ জন, একদিনে সর্বাধিক আক্রান্ত

গত শনিবার সাইকেল চালাতে চালাতে ক্লান্ত অবস্থায় রাস্তার ধারে বসে পড়েন তাঁরা। সেখানে বসেই সেরে নিতে থাকেন দুপুরের খাওয়া। ঠিক তখনই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাড়ি ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে ছুটে এসে সাগিরকেও ধাক্কা মারে। বন্ধুরা দ্রুত সাগিরকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করান। কিন্তু চিকিৎসা শুরু হওয়ার পরে মারা যান সাগির।

Advertisement

স্থানীয় সংগঠন ও নেতাদের সাহায্যে অ্যাম্বুল্যান্সে সাগিরের দেহ তাঁর বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। অজ্ঞাত পরিচয়ের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তার সন্ধান শুরু করেছে পুলিশ। সাগিরের বন্ধুরা জানাচ্ছেন, সাগিরের বাড়িতে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী। তাঁদের তিন সন্তান।

জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত গাড়ির চালক প্রথমে গাড়ি থেকে নেমে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বললেও পরে তিনি তা দিতে অস্বীকার করেন এবং এলাকা ছেড়ে চলে যান।

Advertisement

সম্প্রতি লখনউয়ে এক সাইকেল আরোহী ও তাঁর স্ত্রীয়েরও মৃত্যু হয় পথ দুর্ঘটনায়।

Advertisement