কলকাতা: প্রধানমন্ত্রীর গরিব কল্যাণ রোজগার যোজনা (PM's Garib Kalyna Rojgar Yojana) থেকে বাদ গিয়েছে বাংলার নাম। সেই প্রসঙ্গ তুলে নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (TMC MP Abhisek Banerjee)। সোমবার তিনি টুইট করে একাধিক প্রশ্ন করেন। টুইটে (Tweet to PM) এই সাংসদ লেখেন, "নরেন্দ্র মোদিজি বাংলার ১১ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকের (Migrant Labours in Bengal) স্বার্থ কেন উপেক্ষিত হল। এঁরা সদ্য ভিনরাজ্য ছেড়ে বাংলায় ফিরেছেন। গরিব কল্যাণ রোজগার যোজনা তালিকায় কেন নেই রাজ্যের নাম? বাংলার মানুষের প্রতি এই বঞ্চনা কেন?" ভারতের গ্রামাঞ্চলে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে এবং করোনা ভাইরাসকে রুখতে জারি লকডাউনের সময় দেশে ফিরে আসা লক্ষ লক্ষ শ্রমিককে কাজের সন্ধান দিতে চালু হয়েছে 'গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযান'। শনিবার ৫০,০০০ কোটি টাকার ওই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আপাতত বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা ও রাজস্থান - এই ৬টি রাজ্যের ১১৬ টি জেলায় বাস করে পরিযায়ী শ্রমিকদের 'গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযান' প্রকল্পের মাধ্যমে ১২৫ দিনের কাজ মিলবে। এইসব রাজ্যের প্রত্যেকটিতেই করোনা ভাইরাসের কারণে যে লকডাউন করা হয় তার জন্যে বেকার হয়ে ঘরে ফিরছেন প্রচুর শ্রমিক। এই কর্মসূচীর মাধ্যমে দেশের গ্রামীণ অঞ্চলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। প্রকল্পটি গ্রামীণ অঞ্চলে জনমুখী পরিকাঠামো তৈরি করতেই ব্যবহার করা হবে। প্রত্যেক ব্যক্তিকেই দক্ষতার ভিত্তিতে চাকরি দেওয়ারও চেষ্টা করা হবে, বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া কর্মসংস্থান প্রকল্প গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযানে বাংলাকে অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ করে রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লেখেন কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীও। "আমি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানাচ্ছি যে, আপনি ইতিমধ্যেই যে গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযানের ঘোষণা করেছেন, তার মধ্যে ৬টি রাজ্যের ১১৬ টি জেলা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এবং ওই প্রকল্পের আওতায় কাজ হারিয়ে ভিনরাজ্য থেকে ঘরে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকরা ১২৫ দিনের কাজ পাবেন", চিঠিটি এভাবেই শুরু করেছেন এই কংগ্রেস সাংসদ।
"এই কর্মসূচির আওতায় আসার জন্যে মানদণ্ডটি হল, সেই সেই জেলাগুলিকেই এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যেখানে পরিযায়ী শ্রমিকদের জনসংখ্যা ন্যূনতম পঁচিশ হাজার, এবং লকডাউনের কারণে কাজ হারিয়ে তাঁরা নিজেদের গ্রামে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে"। এরপরেই চিঠিতে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের হয়ে তদ্বির করেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী।