মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) জাতীয় সড়কের ঠিক মাঝখানে বসে এক মানুষ। রাস্তায় বসে কী করছেন? হাতে কাঁচি নিয়ে? খবর, পায়ের প্লাস্টার কাটছেন এই মুহূর্তে পরিযায়ী শ্রমিকদের 'মুখ' হয়ে ওঠা ভ্রমরলাল (Bhanwarlal)। কাজ নেই। লকডাউনের (lockdown) মধ্যেই পথে নেমেছেন। বাড়ি সুদূর রাজস্থানে। মধ্যপ্রদেশে তিনি দৈনিক মজুরিতে শ্রমিক ছিলেন। কাজ নেই। বাড়িতে টাকাও পাঠাতে পারছেন না। সেই সঙ্গে দুর্দিনে গ্রামে একলা পড়ে তাঁর পরিবার। তিনি জানেন, লকডাউন চলছে দেশে। পুলিশ হয়ত তাঁকে বাধা দেবে। তবু তিনি সিদ্ধান্তে অনড়। পরিবারের মুখ মনে করেই মনের জোরে পথ পেরোবোন তিনি।
করোনা প্রভাবে ধুঁকছে দেশের অর্থনীতি, বেতন কমানো হচ্ছে সরকারি কর্মচারীদের
NDTV-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পিপরিয়া শহরের এই শ্রমিক জানিয়েছেন, পায়ের তিনটে আঙুল আর গোড়ালিতে জখম তাঁর। ৫০০ কিমি পথ এসেছেন গাড়িতে চেপে। আর গাড়ি না পাওয়ায় বাকি ২৪০ কিমি পথ হেঁটেই বাড়ি ফিরবেন বলে জেদ তাঁর। তাই মাঝরাস্তায় বসে পায়ের প্লাস্টার কাটছেন। যাতে হাঁটতে কিছুটা সুবিধে হয়।
করোনা ভাইরাস বা COVID-19 এর সংক্রমণ রোধে ২৪ মার্চ থেকে দেশব্যাপী ২১ দিনের লকডাউন শুরু হয়েছে।চলবে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। ওই মারাত্মক ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার আপাতত একমাত্র উপায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। সেই কারণেই বন্ধ বহু অফিস, কলকারখানা। জার জেরে কাজ হারিয়ে অসহায় দিনমজুরের দল।
৭ জনের মৃত্যুর পর দিল্লির মসজিদে অংশ নেওয়া আরও ২৪ জন করোনা পজিটিভ
বাধ্য হয়ে এরপরেই দলে দলে নিজের গ্রাম-শহর-রাজ্যে ফিরতে থাকেন ঠিকে শ্রমিকের দল। কোনও দল বাসে চেপে। কোনও দল ট্রাকে করে। মাঝরাস্তায় যান আটকানোয় আরও বেড়েছে তাঁদের অসহায়তা। কোলে বাচ্চা নিয়ে এরপরেই তাঁরা পায়ে হেঁটে নিজের আস্তানায় ফিরতে সচেষ্ট হন। একই সঙ্গে কেন্দ্রের এই অব্যবস্থা শ্রমিকদের মনে জন্ম দিয়েছে ক্ষোভের। এই শ্রমিক দলেরই আপাতত ভাইরাল মুখ ভ্রমরলাল।
World
India
State & District Details
State | Cases | Active | Recovered | Deaths |
---|