This Article is From May 14, 2020

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে বাঁচানোই মূল লক্ষ্য, বেতনভুক মধ্যবিত্তকে নয়: নীতি আয়োগের সহ সভাপতি

NITI Aayog: অসংখ্য পরিযায়ী শ্রমিক কর্মস্থল ছেড়ে ঘরে ফিরে গেছেন, এই সময় কীভাবে চালানো সম্ভব শিল্পসংস্থাগুলোকে, এই প্রশ্নেরও জবাব দেন রাজীব কুমার

Rajiv Kumar: জনগণের হাতে যাতে ষথেষ্ট টাকার জোগান থাকে তা নিশ্চিত করবে সরকার, বলেন নীতি আয়োগের সহ-সভাপতি

হাইলাইটস

  • করোনা ভাইরাসকে আটকাতে লকডাউনের জেরে দেশের অসংখ্য মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছেন
  • এই পরিস্থিতিতে ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের আর্থিক সহায়তা
  • বেতনভুক মধ্যবিত্তের জন্যেও পরে চিন্তা করবে সরকার: নীতি আয়োগের সহ সভাপতি
নয়া দিল্লি:

যেভাবে কর্মস্থল ছেড়ে কাতারে কাতারে পরিযায়ী শ্রমিক (Migrants) বাড়ি ফিরে যাচ্ছে তাতে চিন্তিত নন নীতি আয়োগের সহ সভাপতি রাজীব কুমার। তাঁর (Rajiv Kumar) মতে, লকডাউন উঠে গেলে যেই বিভিন্ন সংস্থায় পুরোদমে কাজ শুরু হবে তখনই এই শ্রমিকরা ফের কাজের জগতে ফিরে আসবেন। NDTV-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নীতি আয়োগের সহ সভাপতি (NITI Aayog vice-chief) বলেন, কর প্রদানকারী বেতনভোগী মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে ত্রাণ দেওয়ার তুলনায় এখন এমএসএমই অর্থাৎ অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগকে বাঁচানোই সরকারের কাছে অগ্রাধিকার। প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন। ফলে মনে করা হচ্ছে মেয়াদ বাড়লেও ধীরে ধীরে করোনা সংক্রমণ মুক্ত এলাকা বা কম সংক্রমণ যুক্ত এলাকাগুলোতে শিল্পসংস্থা, কারখানা সহ ব্যবসা বাণিজ্যের কাজ শুরু করা যাবে।

বাসের সঙ্গে ট্রাকের ধাক্কায় ৮ জন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ৫৪

যদি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করা হয় তাতে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফিরে যাওয়া একটা বড় মাথাব্যথার কারণ হবে বিভিন্ন রাজ্যের কাছে। কেননা তাঁরাই এইসব শিল্পক্ষেত্রের অন্যতম শ্রমের অঙ্গ ছিলেন। সেক্ষেত্রে শ্রমিকের অভাবে সমস্যায় পড়তে পারে শিল্পসংস্থাগুলো, আশঙ্কা করছে রাজ্যগুলো। সোমবার প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স মারফৎ হওয়া বৈঠকে এমন আশঙ্কাই ব্যক্ত করেন বহু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা।

পরিযায়ী শ্রমিকদের দলে দলে ঘরে ফিরে যাওয়া আটকাতে গত সপ্তাহেই যেমন বিতর্কিত পদক্ষেপ পরে কর্নাটক সরকার। তারা পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরার জন্য ট্রেনের ব্যবস্থা করা থামিয়ে দেয়। যাতে সেরাজ্যে নির্মাণ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ভিনরাজ্যের শ্রমিকরা কর্নাটক ছেড়ে না যেতে পারেন তাই ওই পদক্ষেপ করেন তাঁরা। যদিও তাঁদের এই কাজের ব্যাপক সমালোচনা হয় ঘরে বাইরে।

৬ জন পরিযায়ী শ্রমিককে পিষে দিল সরকারি বাস, আহত ২, জানাল পুলিশ

যাঁরা আতঙ্কে নিজেদের কাজের জায়গা ছেড়ে যাচ্ছে সেই পরিযায়ীরা ফের কীভাবে ফিরে এসে কাজে যোগ দেবে এমন প্রশ্নের জবাবে রাজীব কুমার বলেন, বিষয়টি তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গিতেও বিচার করে দেখা দরকার।

শিল্পক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রায় ৭২ মিলিয়ন পরিযায়ী শ্রমিক বর্তমানে দেশে রয়েছেন, যার মধ্যে ৩৫ থেকে ৩৮ মিলিয়ন নিজেদের কাজের জায়গাতেই এখনও রয়েছেন।

"মস্ত পরিসংখ্যান দেখে আমার ধারণা ৫ বা ৬ মিলিয়নের বেশি  পরিযায়ী শ্রমিক নিজেদের ঘরে ফিরে যাননি। অন্যান্যরা নিজেদের কাজের জায়গাতেই আছেন এখনও। আমি মনে করি এই লকডাউন উঠে গেলে এবং অর্থনৈতিক কাজকর্ম ফের শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যাঁরা কাজের জায়গা ছেড়ে ঘরে ফিরে এসেছেন তাঁরাও কাজে ফিরে আসবেন", বলেন নীতি আয়োগের সহ সভাপতি।

.