Mike Pompeo: বর্তমান চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতেই মার্কিন সেনাকে জার্মানি থেকে সরিয়ে আনা হচ্ছে (ফাইল চিত্র)
হাইলাইটস
- চিনের আগ্রাসনের জবাবে ভারতের পাশে থাকতে চায় আমেরিকা
- মার্কিন সেনাকে জার্মানি থেকে সরিয়ে চিনের দিকে মোতায়েন করা হচ্ছে বলে খবর
- প্রয়োজনীয় চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় পদক্ষেপ, জানিয়েছেন মার্কিন বিদেশ সচিব
ওয়াশিংটন: যেভাবে চিনা আগ্রাসন ক্রমেই বাড়ছে তাতে মোটেই খুশি নয় আমেরিকা (US)। ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক সংঘর্ষকেও (India-China Border Problem) ভালো চোখে দেখছে না তারা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশসচিব মাইক পম্পেও বলেছেন যে, ভারত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপিন্সের মতো এশীয় দেশগুলির উপর যেভাবে রণংদেহী মনোভাব নিয়েছে চিন তা যথেষ্টই উদ্বেগের। বৃহস্পতিবার ব্রাসেলস ফোরামের ভার্চুয়াল সম্মেলনে মার্কিন বিদেশসচিব (Mike Pompeo) বলেন, ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ায় চিনের আগ্রাসনের কারণেই ইউরোপ থেকে মার্কিন সেনার সংখ্যা কমানো হচ্ছে। জার্মানির দিকে মার্কিন সেনা সংখ্যা কমিয়ে দেওয়ার বিষয়ে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হলে পম্পেও বলেন, বর্তমানে যেখানে বেশি প্রয়োজন সেখানেই সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে।
পারস্পরিক সমঝোতার নিয়মকে লঙ্ঘন করেছে চিনের সেনা, বলল কেন্দ্র
চিনের কমিউনিস্ট পার্টির সমালোচনাও করেন মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেও। তিনি বলেন, চিনের কমিউনিস্ট পার্টির পদক্ষেপ শুধু ভারতের জন্য হুমকি নয়। ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্সও চিনের হুমকির মুখে। দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের তত্পরতা নিয়েও ক্ষুব্ধ আমেরিকা। পম্পেওর কথায়, 'বর্তমান সময়ের এই চ্যালেঞ্জ'- এর মোকাবিলা করতেই মার্কিন সেনাকে জার্মানি থেকে সেরিয়ে আনা হচ্ছে।
লাল ফৌজকে চোখ রাঙাতে এলএসি বরাবর সম্ভার বাড়াল ভারত
মাইক পম্পেও স্পষ্টভাবেই বলেন, "আমরা পিএলএ-কে (চিনের পিপল'স লিবারেশন আর্মি) মোকাবিলা করার জন্যে যথাযথ ভাবে মার্কিন সেনা নিয়োগ করব। আমরা মনে করি, এটা আমাদের সময়ের চ্যালেঞ্জ।"
গত সপ্তাহেও মাইক পম্পেও চিনের সেনাবাহিনীর সমালোচনা করেছিলেন। ভারতের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনা বাড়ানো এবং কৌশলগতভাবে দক্ষিণ চিন সাগরের সামরিকীকরণের জন্যে চিনাবাহিনীর নিন্দা করেন তিনি।
গত ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এক কর্নেল সহ ২০ জন ভারতীয় সেনা প্রাণ হারান। ওই সংঘর্ষের সময় জখম হন আরও ৭৬ জন ভারতীয় জওয়ানও।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক বলেছে যে, চিন যেভাবে এই অঞ্চলে আরও বেশি করে সেনা মোতায়েন করছে তাতে দু'দেশের মধ্যে শান্তিরক্ষার্থে ৬ জুন যে চুক্তি করা হয়েছিল তা লঙ্ঘিত হয়েছে। দুই দেশের মেজর জেনারেল স্তরে হওয়া ওই বৈঠকে ঠিক হয়েছিল যে এলএসির কাছে থাকা চিনা ছাউনিটি সরিয়ে নেওয়া হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় তা হয়নি।