কলকাতা: একজন সদ্য বিলেতফেরত। আরেকজন আটকা পড়েছেন সুইজারল্যান্ডে। দু'জনেই কলকাতার মেয়ে। পেশার সূত্রে তাঁরা সেলেব্রিটি। প্রথমজন সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)। গতকাল, ১৮ মার্চ আগামী ছবি 'বাজি'-র শুট বন্ধ করে ফিরেছেন কলকাতায়। অন্যজন গায়িকা মোনালি ঠাকুর (Monali Thakur)। যিনি আটকে পড়েছেন সুইজারল্যান্ডে। বিদেশ কতটা আতঙ্কিত করোনা ভাইরাসে (Coronavirus)? ওখানকার অবস্থাও কি আমাদের দেশের মতোই? বিদেশে থাকাকালীন এবং ফিরে এসে কী কী সাবধানতা অবলম্বন করছেন? ভিডিও বার্তায় জানালেন মিমি, মোনালি----
কেমন অবস্থা লন্ডনের? দেশে পা দিয়েই বা কী দেখলেন মিমি? ভিডিও বার্তায় সেই উত্তর দিতে গিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। জানান, অনুরাগীরা প্রচুর প্রশ্ন করছেন তাঁকে এই বিদেশ যাত্রা নিয়ে। ১২ মার্চ সমস্ত খবরাখবর নিয়েই তিনি 'বাজি'র শুটিংয়ে পাড়ি দেন। হিথরো এবং দুবাই বিমানবন্দর শুনশান হলেও লন্ডনের জীবন কিন্তু স্বাভাবিক। ওখানে কেউ মাস্ক পরে ঘুরছেন না। কিন্তু টিম বাজি সমস্ত সাবধাতা অবলম্বন করেছেন।
১৮ মার্চের মধ্যে দেশে ফেরার নির্দেশিকা অনুযায়ী গতকাল দেশে ফেরার পর কলকাতা বিমানবন্দরে পা রাখার পরেই কয়েক সেকেন্ডের জন্য হৃদস্পন্দন থেমে গেছিল মিমির, 'স্ক্রিনিংয়ের সময় ভীষণ ভয় করছিল, যদি আমার মধ্যে ভাইরাস ধরা পড়ে! স্ক্রিনিং নেগেটিভ আসতেই ধড়ে প্রাণ আসে। বাড়ি ফিরে তারপরে ঘুমিয়ে পড়ি। বিকেলে দেখি, আমায় জানানো হয়েছে, আমি নাকি ভিভিআইপি বলে স্ক্রিনিং করিনি! আমি ভিআইপি না হলেও অবশ্যই দায়িত্ববান নাগরিক। তার জন্যও আমি স্ক্রিনিং করাতাম। তাছাড়া, আমায় নিজের হাতে দরখাস্ত পূরণ করে জমা দিতে হয়েছে। সবার এবং নিজের স্বার্থে ১৪ দিন আইসোলেশনে আছি। মা-বাবাকে পর্যন্ত বাড়িতে আসতে বারণ করে দিয়েছি। ওঁদের বয়সের কথা চিন্তা করে। এমনতেই দেশ এবং শহর আতঙ্কে ভুগছে। তার মধ্যে এই ধরনের গুজব ছড়িয়ে আর আতঙ্ক বাড়াবেন না।'
এই মুহূর্তে দেশের বাইরে ভারতের জনপ্রিয় গায়িকা মোনালি ঠাকুর। ইউরোপের সুইজারল্যান্ডে আছেন। ইউরোপ, তুর্ক থেকে বিমন ভারতে নামতে পারছে না বলেই তিনি আটকে পড়েছেন। সুউজারল্যান্ডেও ভারতের মতো দোকানপাট বন্ধ। প্রায় স্তব্ধ জনজীবন। ওখানে জনসংখ্যা খুব কম হলেও সাধারণ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন, হচ্ছেন এই ভাইরাসে। দেশে নিজের মা-বাবা এবং সমস্ত দেশবাসীর প্রতি তাই মোনালির ভিডিও বার্তা, আতঙ্ক ছড়াবেন না। পারলে সংক্রমণ ঠেকান। বয়স্ক এবং অসুস্থরা এতে আক্রান্ত হলে ভয়ের। অল্পবয়সী বা সুস্থ মানুষের মধ্যে সংক্রমণ দেখাদিলে ততটাও ভয়ের নয়।