This Article is From May 31, 2019

ট্রোলের প্রত্য়ুত্তরে মিমি: গৌতম কেন ছাড় পেলেন! পুরুষ বলে?

মিমি চক্রবর্তী আর নুসরত জাহানের পাশ্চাত্য পোশাক নিতে পারেননি নেটিজেনরা।

ট্রোলের প্রত্য়ুত্তরে মিমি: গৌতম কেন ছাড় পেলেন! পুরুষ বলে?

মিমি চক্রবর্তী ও নুসরত জাহান

নিউ দিল্লি:

নিউ দিল্লি: একদিন আগেই সংসদ ভবনের সামনে পাশ্চাত্য পোশাকে ছবি তোলার জন্য ট্রোলড হয়েছেন তৃণমূলের দুই নতুন সাংসদ মিমি চক্রবর্তী (Mimi chakraborty) এবং নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)। নেট দুনিয়ায় সেই ছবি ভাইরাল হতেই ক্যাজুয়াল প্যান্ট-শার্টে তাঁদের দেখে শাসনের ছড়ি উঁচিয়ে ছিলেন একদল নীতি পুলিশ (Fashion Police)। বলেছিলেন, সাংসদদের কি কোনও ধারণাই নেই কোন পোশাকে সংসদ ভবনে যেতে হয়! সেই ট্রোলের উত্তরে আজ মিমি বলেন, আমার সমালোচকেরা যেন সামান্য লিঙ্গবৈষম্য-গন্ধী। তাই গৌতম গম্ভীর তাঁদের হাত থেকে ছাড় পেয়েছেন।

 বাঙালি এবং অ-বাঙালি মানুষদের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছে বিজেপিঃ মমতা

মিমির হয়ে সেই ট্রোলের জবাব  দেন সাংবাদিক (journalist) স্বাতী চতুর্বেদী (Swati Chaturvedi)।   ট্যুইটারে তাঁর ব্যঙ্গোক্তি, "নীতি পুলিশরা কি গৌতমকে আক্রমণ করেছেন, না ছাড় দিলেন? নাকি তাঁদের লক্ষ্য শুধুই নারী? আমার মনে হয় গৌতম গম্ভীরকে (Gautam Gambhir) দারুণ লাগছিল। কী বলেন!"

এরপরেই তিনি গৌতম গম্ভীরের (Gautam Gambhir) একটি ছবি পোস্ট করেন যেখানে দেখা গেছে প্রাক্তন ক্রিকেটার সংসদ ভবনের সামনে (parliament complex) ক্যাজুয়াল পোশাক জিনস আর টি-শার্ট (t-shirt, jeans) পরে দাঁড়িয়ে আছেন। হাতে ধরা পরিচয় পত্র (identity card)। গৌতম সদ্য সমাপ্ত ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে দিল্লি পূর্ব থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। 

আজ বিকেলে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক, কে কোন দায়িত্বে তা নিয়ে রহস্য

এরপরেই মিমির শাণিত জবাব, "না, ম্যাম। এঁরা ওঁকে আক্রমণ করেননি। কারণ, আমরা যে নারী! বরও ওঁদের মতে, গৌতম গম্ভীরকে (Gautam Gambhir) দারুণ লাগছিল।" ট্যুইটে একথাই লেখেন মিমি স্বাতী চতুর্বেদীকে (Swati Chaturvedi).

প্রসঙ্গত, কলকাতার যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র এবং বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে চলতি বছরের নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন দুই তারকা প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহান। সোমবার সংসদ ভাবনের সামনে খুশিতে উচ্ছিবল দুই নায়িকা নিজস্বী তোলে পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ট্যাগ করেন বাকি সাংসদদের। বলেন, "নুসরতের সঙ্গে প্রথম দিন পার্লামেন্টে।" 

এরপরেই সেই ছবি নিয়ে মন্তব্য করতে থাকেন নেটিজেনরা (netizens)। কেউ বলেন, ওঁরা সঠিক পোশাক বাছতে জানেন না। কারোর মতে, সংসদ ভবন স্টুডিও পাড়া নয়। কেউ বলেন মিমি (Mimi Chakraborty) সাংসদ হওয়ার উপযুক্ত নন।" বাকিদের মতে, ওঁদের শাড়ি পড়ে আসা উচিত ছিল।

নিন্দার পাশাপাশি প্রসংশাও পেয়েছেন মিমি, নুসরত। অনেকেই তাঁদের পক্ষে বলেছে, দুই নারী যেন সিংহীর মতো পরাক্রমী। আশা করছি, এভাবেই তাঁরা ভবিষ্যতে দেশের হাল ধরবেন।

পোলিং এজেন্সির প্রতিষ্ঠাতা যশবন্ত দেশমুখ মিমিদের হয়ে বলেন, "আমি তো এর মধ্যে খারাপ কিছুই দেখছি। না। ওঁরা আজকের প্রজন্মের। তাই তেমন পোশাকই বেছেছেন। ওঁরা্ কিন্তু ওঁদের যোগ্যতায় এসেছেন।

যদিও নির্বাচনে এঁদের জয়ের অঙ্কটা কিন্তু উল্লেখযোগ্য। যাদবপুরের মতো হেভিওয়েট কেন্দ্র থেকে মিমি (Mimi Chakrabort) জিতেছেন  ৩ লাখ ভোটে। অন্যদিকে নুসরত (Nusrat Jahan) বসিরহাট কেন্দ্রে জিতেছেন ৩.৫ লাখ ভোটে। প্রসঙ্গত, এই দুটি আসনে ২০১৪-য় তৃণমূল জিতেছিল কমবেশি  ১,৩০, ০০০ আসনে। 

.