প্রথম করোনা ভাইরাস টেস্ট কিটের পিছনে থাকা ভাইরোলজিস্ট মিনাল দখবে ভোঁসলে
হাইলাইটস
- প্রথম করোনা ভাইরাস টেস্ট কিটের পিছনে থাকা ভাইরোলজিস্ট মিনাল দখবে ভোঁসলে
- করোনাভাইরাস টেস্টিং কিট যারা ডিজাইন করেছে সেই দলের নেতৃত্বে ছিলেন মিনাল
- এই কিট ১০০ টি স্যাম্পেল টেস্ট করতে পারবে
আনন্দ মহিন্দ্রা থেকে শুরু করে অভিনেত্রী সোনি রাজদান! হাজার হাজার মানুষ যাঁকে শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিয়েছেন, তিনি ভারতের প্রথম করোনা ভাইরাস টেস্ট কিটের পিছনে থাকা ভাইরোলজিস্ট মিনাল দখবে ভোঁসলে (Minal Dakhbe Bhosale)। বিবিসির মতে পুনের মাই ল্যাবের রিসার্চ এবং ডেভলপমেন্ট প্রধান হলেন ভোঁসলে। এই সংস্থাটি হল প্রথম ভারতীয় সংস্থা যারা করোনা ভাইরাসের কিট (Coronavirus Kit) তৈরি করা এবং তা বিক্রি করার পূর্ণ অনুমতি পেয়েছে। এই মলিকিউলার ডায়গোনেস্টিক কোম্পানিটি সাফল্যের সঙ্গে এই কিট তৈরি করেছে, যা ১০০ টি স্যাম্পেল টেস্ট করতে পারবে। ভারত বিদেশ থেকে যে COVID 19 কিট আমদানি করছে তার থেকে এর দাম প্রায় ৪ গুণ কম, মাত্র ১২০০ টাকা।
করোনাভাইরাসের টেস্টিং কিট যারা তৈরি করেছেন সেই দলের নেতৃত্বে ছিলেন মিনাল ভোঁসলে। মাই ল্যাবে যার নাম তাঁরা দেন, প্যাথো ডিটেক্ট। ফেব্রুয়ারিতে তাঁর অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কিছু জটিলতার কারণেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেই এই নিয়ে কাজ শুরু করেন তিনি। ১৮ মার্চ কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ার ঠিক আগের দিন, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে এই কিটটি পরীক্ষার জন্য জমা দেন তিনি।
"এটা আমার কাছে একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। এটা একটা ইমারজেন্সি। দেশের জন্য আমাকে কিছু করতেই হতো।" বিবিসিকে জানিয়েছেন মিনাল ভোঁসলে। হিন্দুস্তান টাইমসকে তিনি জানিয়েছেন যে, "যেখানে অন্যান্য পরীক্ষা করতে ৬ থেকে ৭ ঘন্টা সময় লাগছিল, সেখানে আমাদের কিট মাত্র আড়াই ঘণ্টাতেই COVID 19 টেস্ট করছে। আমাদের অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা এবং ফাস্ট মোড অ্যাক্টিং রিএজেন্টের মাধ্যমে আমরা এই কাজ করতে পেরেছি।"
মিনাল দখবে ভোঁসলে সম্পর্কে ইনস্টাগ্রামে তাঁর গল্প শেয়ার করেছিলেন সোনি রাজদান। যেখানে কয়েক মিনিটের মধ্যে কয়েকশো লাইক পড়ে।
আনন্দ মাহিন্দ্রাও এই মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামিল হয়েছেন, তিনি নিজের বিলাসবহুল রিসোর্টগুলি করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্যবহার করার জন্য দিয়েছেন। শনিবার তিনিও মিনাল ভোঁসলের এই উদ্যোগ সম্পর্কে টুইটারে জানান।
"মিনাল ভোঁসলে আপনি শুধুমাত্র একটি টেস্ট কিট তৈরি করেননি বা আপনার সন্তানের জন্ম দেননি, আপনি গোটা দেশের কাছে আশার আলো পাঠিয়েছেন। আমরা আপনার পাশে আছি আর আপনাকে স্যালুট জানাচ্ছি," লিখেছেন তিনি।
ভারতবর্ষের বিভিন্ন অংশে মারাত্মক ছোঁয়াচে এই রোগটিতে আরও ১৯৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন শুধুমাত্র শনিবারেই। যার ফলে ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাফে অনেকটা বেড়ে গিয়েছে।