দিল্লির মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে নিয়ে যাওয়া হয় এলএনজিপি হাসপাতালে।
হাইলাইটস
- মঙ্গলবার থেকে অনশনে বসা সত্যেন্দ্র জৈনকে নিয়ে যাওয়া হয় এলএনজিপি হাসপাতালে
- আপ সরকারের বিরোধিতা করা আমলাদের প্রতিবাদ তোলার দাবি করেন তাঁরা
- বিশাল বড়ো প্রতিবাদ মিছিল আয়োজন করেছিল আপ, আমলারা তাতে যোগ দেননি
নিউ দিল্লি:
গত মঙ্গলবার থেকে দিল্লিতে লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বাইজলের বাড়িতে অনশন করতে থাকা আপ মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে তাঁর স্বাস্থ্যের ক্রমাগত অবনতির কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে রবিবার রাতে টুইট করে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সরকারি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে এলএনজিপি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কেজরিওয়াল তাঁর সতীর্থদের সঙ্গে অনিল বাইজলের অফিসের ওয়েটিং রুমে ধর্না করার কথা ঘোষণা করার পরের দিন থেকেই অনশনে বসেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন ও শিক্ষামন্ত্রী মনীশ শিশোদিয়া। দিল্লির আমলাদের আপ সরকারের বিরূদ্ধে ‘অবৈধ ধর্মঘট’-এর অবসান ও ঘরে ঘরে রেশন বিতরণ স্কিমের অনুমোদনের দাবিতেই এই ধর্না এবং অনশন আপ সরকারের মন্ত্রীদের।
এই বিষয়ে 10’টি জ্ঞাতব্য তথ্য:
- রবিবার সকালে আপ মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখা যায়, তাঁর ওজন অনশন শুরুর দিনের থেকে 4 কেজি কমে গিয়েছে। কার্ডিওলজিস্ট, ডায়াবেটোলজিস্ট ও নেফ্রোলজিস্টের নিয়ে সমৃদ্ধ তিন চিকিৎসকের একটি দল তাঁকে পরীক্ষা করেন।
- গত রাতেই সত্যেন্দ্র জৈনের শরীরে কিটোনের মাত্রা বেড়ে যায়। মাথাব্যথা, শরীরে ব্যথা এবং মূত্রের সমস্যার কথাও বলেন তিনি। ওই কারণেই হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় তাঁকে। আপাতত উনি সুস্থ আছে”। টুইট করে বলেন কেজরিওয়াল।
- রবিবার দিন কয়েকজন আইএএস অফিসার সাংবাদিক সম্মেলন করে আপ সরকারের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেন।
- সন্ধেবেলা কয়েক হাজার আপ সমর্থক দলীয় পতাকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অফিসের উদ্দেশে মিছিল করেন।
- বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি আপের দিকে সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, দেশের শাসনব্যবস্থার তুমুলভাবে অবনতি ঘটেছে।
- সকালবেলা দিল্লিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো করে পুলিশ। প্যাটেল চক, উদ্যোগ ভবন, সেন্ট্রাল সেক্রেটারিয়েট, জনপথ, লোক কল্যাণ মার্গের মতো পাঁচটি মেট্রো স্টেশনের প্রস্থানের রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
- প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন বাংলা, কর্ণাটক, কেরালা ও অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীরাও।
- একমাত্র কংগ্রেস ছাড়া আর প্রায় সমস্ত বিজেপি-বিরোধী দলের সমর্থনই পাচ্ছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
- মুখ্যমন্ত্রী এক সপ্তাহ ধরে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের অফিসে ধর্নায় বসেছেন।
- গত সপ্তাহে কেজরিওয়াল এবং তাঁর দলের মন্ত্রীদের সঙ্গে কাউকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি।