This Article is From Apr 19, 2020

কেন্দ্রীয় কর্মীদের পেনশন থেকে ২০ শতাংশ কেটে নেওয়ার পরিকল্পনা নেই, জানাল অর্থ মন্ত্রক

কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক জানিয়ে দিল, এই দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এমন কোনও সম্ভাবনা নেই।

হাইলাইটস

  • পেনশন থেকে অর্থ কাটার কোনও পরিকল্পনা নেই বলে জানাল কেন্দ্রীয় সরকার
  • টুইট করে একথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক
  • সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই এক খবর রটে যাওয়ার পর একথা জানাল অর্থ মন্ত্রক
নয়াদিল্লি:

কেবল ভারতই নয়, গোটা বিশ্বের অর্থনীতিই করোনা ভাইরাসের ধাক্কায় বেসামাল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) তাঁর ভাষণের সময়ও এই বিষয়ে উল্লেখ করেন। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) বা আরবিআই চেষ্টা করে চলেছে সাধারণ মানুষকে সম্ভাব্য সমস্ত উপায়ে অর্থনৈতিক সমস্যা থেকে দূরে রাখতে। এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক রিপোর্ট দ্রুত ছড়াতে শুরু করেছে। তাতে বলা হয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় কর্মীদের পেনশন (Pension) থেকে ২০ শতাংশ কেটে নেওয়ার পদক্ষেপ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবার কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক জানিয়ে দিল, এই দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এমন কোনও সম্ভাবনা নেই।

অর্থ মন্ত্রকের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডলে এ বিষয়ে একটি টুইট করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘‘এমন রিপোর্ট করা হচ্ছে যে, কেন্দ্রীয় সরকার কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের পেনশন থেকে ২০ শতাংশ কেটে নিতে চলেছে। এটা ভ্রান্ত খবর। পেনশন থেকে কিছু কাটা হচ্ছে না। পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, সরকারি কর্মীদের পেনশন ও বেতনে কোনও প্রভাব পড়বে না।''

‘‘হৃদয়হীন সরকার'': দরিদ্রদের অর্থ, বিনামূল্যে খাবারের দাবি চিদাম্বরমের

আরবিআইয়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস ১৭ এপ্রিল ভিডিও কনফারেন্সে বলেন, কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে সৃষ্টি হওয়া পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে আরবিআই। আরবিআই আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য ৫০,০০০ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি রিভার্স রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমানোর ঘোষণাও করেন আরবিআইয়ের গভর্নর। ৪ বেসিস পয়েন্ট থেকে কমে হল ৩.৭৫%। তবে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রেপো রেট।

আইআইটি খড়গপুর চত্বরে বসানো হল জীবাণুনাশক টানেল

শক্তিকান্ত দাস বলেন, ‘‘মহামারির প্রকোপের সময় সামান্য কাজকর্ম সুনিশ্চিত করতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাঙ্কগুলি বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পের জিডিপি বৃদ্ধির অনুমান ১.৯ শতাংশ। যা জি২০ দেশগুলির মধ্যে সর্বাধিক।'' এছাড়াও তিনি আশাবাদী ২০২১-২২ সালে ভারতীয় অর্থনীতি আবার আগের স্থানে প্রত্যাবর্তন করবে।

গত মঙ্গলবার লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা করার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান, ২০ এপ্রিলের পর গ্রামীণ এলাকার শিল্প, কৃষি ও ই-কমার্সের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা কিছুটা লাঘব করা হবে।

.