This Article is From Dec 12, 2019

জোর করে বেশ্যাবৃত্তি নাবালিকাকে, উদ্ধার মহানগরীর মধুচক্র থেকে

কয়েক মাস ধরে বেশ্যাবৃত্তি করার পর অবশেষে বুধবার বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের বিশেষ শাখা উদ্ধার নিউটাইনের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করল ওই কিশোরীকে।

জোর করে বেশ্যাবৃত্তি নাবালিকাকে, উদ্ধার মহানগরীর মধুচক্র থেকে

মধুচক্র থেকে উদ্ধার নাবালিকা

কলকাতা:

বিচ্ছিন্ন দাম্পত্য দেখে ছোট থেকে বড় হওয়া। আশ্রয়স্থল বৃদ্ধ দাদু-দিদা। অভিযোগ, ক্লাস এইট ছুট এই ১৬ বছরের মেয়েটিকেই টাকার লোভ দেখিয়ে জোর করে মধুচক্রে (Sex Trafficking Racket) কাজ করতে বাধ্য করেছিল মক্ষুরানি সুপর্ণা মণ্ডল। খবর, কয়েক মাস ধরে বেশ্যাবৃত্তি করার পর অবশেষে বুধবার বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের বিশেষ শাখা International Justice Mission-এর সাহায্যে নিউটউনের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করল ওই কিশোরীকে।

স্কুলের ছাত্রীরা আত্মরক্ষার কৌশল শিখবে ‘সমগ্র শিক্ষা' প্রকল্পের অধীনে

বধাননগর কমিশনারেটের তরফ থেকে আরও জানা গেছে, সুপর্ণা মণ্ডল, অভিজিৎ মণ্ডল এবং পায়েল হিরা মিলে নিউটাউনের একটি দু-কামরার ফ্ল্যাটে দীর্ঘদিন ধরে এই মধুচক্র চালাত। দীর্ঘদিন বেশ্যাবৃত্তির সঙ্গে জড়িত সুপর্ণা পুরো ব্যবসার দেখভাল করত। একই সঙ্গে খদ্দের নিয়ে আসত। অঞ্চলের যে সমস্ত নাবালিকা, অল্পবয়সী মেয়েরা অর্থাভাবে ভুগত তাদের ফুসলিয়ে নিয়ে আসত সে।

গোটা দেশে এবং শহর কলকাতাতে যেভাবে রমরমিয়ে বাড়ছে দেহব্যবসা তাতে আতঙ্কিত শহরবাসী। প্রশাসনের দাবি, সভ্যতার আদিমতম এই ব্যবসা ইদানিং ফুলেফেঁপে উঠেছে ইন্টারনেটের দৌলতে। এখানে বিজ্ঞাপন দিয়ে, ক্লায়েন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তারপর তাদের নিয়ে আসা হয় নির্দিষ্ট স্থানে। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আগে থেকেই সম্পর্ক তারি হয়ে যাচ্ছে দেহপসারিণী এবং খদ্দেরের মধ্যে।

১২-বছরের কিশোরী-কে ৩ জন মিলে লাগাতার ধর্ষণ, ঘটনার সাথে জড়িত মা!

ইতিমধ্যেই ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ৩৬৬ এ, ৩৭০, ৩৭০ এ, ৩৭২, ৩৭৩ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে ওই তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। ধারা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নাবালিকা মেয়েদের সংগ্রহ, নারীপাচার, নাবালিকাদের শারীরিক ও মানসিক নিগ্রহ, পতিতাবৃত্তির উদ্দেশ্যে অপ্রাপ্তবয়স্কদের বিক্রি করে দেওয়া এবং পতিতাবৃত্তির উদ্দেশ্যে নাবালিকাদের কেনাবেচা। এছাড়াও, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে বিভাগ ৩, ৪, ৫, ৭ (আইটিপিএ), ধারা ১৭, ১৭ / ডাব্লু ৪ POCSOA-র আইন অনুযায়ী পতিতালয় হিসাবে ব্যবহারের জায়গা স্থাপন বা রাখার অনুমতি দেওয়ার জন্য, পতিতার উপার্জনে জীবনযাপন,  নাবালিকা সংগ্রহ ও তাদের প্ররোচিত করা প্রকাশ্যে বেশ্যাবৃত্তির কারণে।

এবিষয়ে IJM-এর কলকাতা শাখার প্রধান সাজি ফিলিপ জানিয়েছেন, এভাবেই আমরা স্কুলছুট বহু মেয়েকে উদ্ধার করেছি দেবব্যবসা থেকে। এরা মূলত অভাবী সংসারের। ফলে, সহজেই অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে এদের মধুচক্রে নিয়ে আসা সহজ হয়েছে। শহরে এরকম আরও নাবালিকার নষ্ট হচ্ছে মেয়েবেলা। সবার অলক্ষ্যে এরা পাচার হয়ে যাচ্ছে দেশে-বিদেশে। প্রশাসনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আগামী দিনে শহরের নাবালিকাদের নিরাপত্তা দিতে তাই শপথ নিয়েছে সংস্থা।

.