This Article is From Jun 04, 2019

নিখোঁজ বায়ুসেনা বিমান এএন-৩২-র বিপদ-সংকেত জ্ঞাপক যন্ত্র ১৪ বছরের পুরনো

এএন-৩২-তে অনুসন্ধান ও উদ্ধারকার্যের জন্য যে বিপদ-সংকেত জ্ঞাপক যন্ত্র লাগানো ছিল তা গত ১৪ বছর ধরে ব্যবহৃতই হয়নি।

নিখোঁজ বায়ুসেনা বিমান এএন-৩২-র বিপদ-সংকেত জ্ঞাপক যন্ত্র ১৪ বছরের পুরনো

সোমবার দুপুর ১টার পরে আর বিমানটির সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ করা যায়নি।

হাইলাইটস

  • বিমানটি সোমবার দুপুরে অসমের জোড়হাট থেকে উড়ে যায়।
  • ১টার পরে আর তার সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ করা যায়নি।
  • বিমানে ৮ জন বিমান কর্মী এবং ৫ জন যাত্রী ছিলেন।
নয়াদিল্লি:

ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) নিখোঁজ বিমান এএন-৩২-তে (An-32) অনুসন্ধান ও উদ্ধারকার্যের জন্য যে বিপদ-সংকেত জ্ঞাপক যন্ত্র লাগানো ছিল তা গত ১৪ বছর ধরে ব্যবহৃতই হয়নি। সম্ভবত এটি এখনও কর্মক্ষম পরিস্থিতিতেই রয়েছে। কিন্তু সেখান থেকে বেরনো কোনও সংকেত উদ্ধারকারীরা এখনও পাননি। ফলে সম্ভবত ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে যাওয়া বিমানটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এএন-৩২ যুদ্ধ বিমানে ৮ জন বিমান কর্মী এবং ৫ জন যাত্রী ছিলেন। সোমবার দুপুর ১২ টা ২৫ মিনিটে ওড়ার পর কিছুক্ষণের মধ্যেই নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। ১টার পরে আর তার সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ করা যায়নি। 

‘‘তবে তাই হোক'': মায়াবতীর জোট থেকে সরে আসা নিয়ে অখিলেশের প্রতিক্রিয়া

গতকাল, সোমবার দুপুর ১২ টা ২৫ মিনিটে অসমের জোড়হাট থেকে অরুণাচল প্রদেশের মেছুকা বিমান অবতরণ ক্ষেত্রের উদ্দেশে উড়ে যায়। তাতে SARBE 8 নামে একটি সিঙ্গল এমারজেন্সি লোকেটর ট্রান্সমিটার (ELT) লাগানো ছিল। নির্মাতা ব্রিটিশ ফার্ম সিগনেচার ইন্ডাস্ট্রিস। SARBE 8 ওই সোভিয়েত-নির্মিত বিমানের কার্গো কক্ষে রাখা ছিল। ওই ট্রান্সমিটারটির কাজ ছিল ২০জি বা অভিকর্ষের ২০ গুণ বলের সম্মুখীন হলেই বিপদ সংকেত পাঠানো।

ওই সংকেত ধরা পড়ার কথা কসপাস-সারসাট নামের এক উপগ্রহ-নির্ভর অনুসন্ধান ও উদ্ধারকার্যের জন্য নির্মিত ব্যবস্থাপনায়। এছাড়া বিপদ সংকেত ধরা পড়ার উপায় রয়েছে ২৪২ মেগা হার্ৎজের বিমান অনুসন্ধানী সংকেত পাঠিয়েও। আন্তর্জাতিক বিমান বিপদ সংকেত হিসেবে ওটাকেই ধরা হয়। 

বলার আগে ভাবুন, কী বলতে চাইছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে পরামর্শ অপর্ণা সেনের

২০০৪ সালের এক প্রেস রিলিজে বলা হয় ‘‘SARBE 5, 6, 7, and 8-এর অর্ডার জানুয়ারি, ২০০৫ পর্যন্ত নেওয়া হবে, ২০০৫-এর মধ্যেই ডেলিভারি দেওয়ার পরিকল্পনা সহ। ব্যাটারি, যন্ত্রাংশ, পরিষেবা তারপরেও পাওয়া যাবে।'' সেই রিলিজে এও বলা হয়, ‘‘যে সংস্থাগুলি এই ধরনের যন্ত্রাংশ ব্যবহার করবে তাদের খেয়াল রাখতে হবে ব্যক্তিগত আলোক-সংকেত জ্ঞাপক যন্ত্রের ক্ষেত্রে উপগ্রহ নজরদারি ব্যবস্থা ২০০৯-এর পরে পুরনো হয়ে যাওয়ার সমস্যার সম্মুখীন হবে।'' SARBE 8 এমারজেন্সি লোকেটর ট্রান্সমিটারকে সরিয়ে SARBE G2R-ELT লাগানো হয়। যেটির বিক্রেতা ২০০৬ সালে স্থাপিত মার্কিন-ফরাসি সংস্থা ওরিলা।

ভারতীয় বায়ুসেনা আন্তোনভ এএন-৩২ বিমানটির ‘লঞ্চ কাস্টমার' বা প্রারম্ভিক ক্রেতা ছিল। ১৯৮৬ সাল থেকেই তারা ওই ধরনটির গ্রাহক হওয়া শুরু করে। এই মুহূর্তে ভারতীয় বায়ুসেনা চিন্তাভাবনা করছে ১০৫টি বিমান ক্রয় করার, যার ফলে ভারতীয় সেনারা উঁচু পার্বত্য এলাকায় চিনের নজর থেকে বাঁচতে পারে। ২০০৯ সালে ভারচ একটি ৪০০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি হয় ইউক্রেনের সঙ্গে। এএন-৩২ বিমানগুলির উন্নতি ও কার্যকর জীবন বাড়ানোর জন্য। ৪৬টি উন্নত An-32 RE বিমানে দু'টি সমসাময়িক এমারজেন্সি লোকেটর ট্রান্সমিটার লাগানো হয়েছে, যথা-  ARTEX C406-1 ও KANNAD 406AS, যেগুলিকে অনায়াসে অরুণাচলের উদ্দেশে যাত্রা করা বিমানটির ট্রান্সমিটারটির থেকে একটি প্রজন্ম এগিয়ে থাকা বলে ধরা যায়। এএন-৩২কে আপগ্রেড বা তার যন্ত্রাংশের উন্নতিসাধন করা হয়নি।

বিমানটির ধ্বংসাবশেষের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রাথমিক ভাবে দুর্ঘটনার একটি খবর পাওয়ার পরে ভারতীয় বায়ুসেনা, নৌবাহিনী, পদাতিক বাহিনী নানা ভাবে চেষ্টা করতে তাকে বিমানটি খুঁজে বের করার। ভারতীয় নৌবাহিনী  P-8 উপকূলবর্তী পরিদর্শনকারী বিমান, যাতে শক্তিশালী র‍্যাডার, ইনফ্রা রেড এবং ইলোক্ট্রো-অপটিক্যাল সেন্সর রয়েছে। এর সাহায্যে ধ্বংসাবশেষকে পাহাড়ি বা অরণ্যের আড়ালে থাকলেও খুঁজে বের করা সম্ভব।

.