এ সপ্তাহের সোমবার তিনটি ট্রলারে করে মোট 47 জন মৎস্যজীবী সমুদ্রে যান।
কলকাতা: দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা থেকে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ট্রলার উল্টে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া 19 মৎস্যজীবীর মধ্যে আরও চার জনের দেহ উদ্ধার হল। এর আগে দুজনের দেহের সন্ধান পেয়েছিল প্রশাসন। কিন্ত এখনও 13 জনের খোঁজ নেই। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। উপকূল নিরাপত্তা বাহিনী, পুলিশ ও মৎস্যজীবীদের সংগঠন মিলিত ভাবে কাজ করছে। বেশ কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে চলছে উদ্ধারকাজ।
এ সপ্তাহের সোমবার তিনটি ট্রলারে করে মোট 47 জন মৎস্যজীবী সমুদ্রে যান। তখন আবহাওয়া ভাল ছিল। কিন্ত পরে তা খারাপ হতে শুরু করে। সমুদ্রের মধ্যে সেটি উল্টে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই খোঁজ মেলে 28 জনের। কিন্ত মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত বাকিদের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি ।
সময় বয়ে যেতে থাকায় উদ্ধার কাজে গতি আনে প্রশাসন। বেশ কিছুটা সময় বাদে দেহ উদ্ধার হতে শুরু হয়।
জানা গিয়েছে বঙ্গপোসাগরের জলে কয়েকটি দেহ ভাসতে দেখে উপকূলরক্ষী বাহিনীর বিমান। সেই খবর পেয়ে সেখানে যায় মৎস্যজীবী সংগঠনের একটি ট্রলার। উদ্ধার হয় চারটি দেহ। প্রায় একই জায়গা থেকে বাকি দুটি দেহের খোঁজ মিলেছিল। তবে আবহাওয়া খারাপ থাকায় উদ্ধারকাজে সমস্যা হচ্ছে। প্রশাসনের কর্তারা মনে করছেন নতুন করে আবহাওয়া খারাপ হলে সমস্যা বাড়বে । তাই যত দ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করতে মরিয়া নবান্নের কর্তারা। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করা হচ্ছে ।
এদিকে এই দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সংগঠনের সম্পাদক বিজন মাইতি জানিয়েছেন আবহাওয়া দপ্তর থেকে কোনও নির্দেশিকা আসেনি। সমুদ্রে যে মাছ ধরতে যাওয়া যাবে না, সেকথা রেডিওতেও ঘোষণা করা হয়িনি। আর তাই মৎস্যজীবীরা মাছ ধরতে যান। কিন্তু আবহাওয়া দপ্তরের ওয়েবসাইট বলছে সোমবার মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছিল। সংগঠনের দেওয়া তথ্য বলছে এই তিনটি ছাড়াও আরও কয়েকটি ট্রলার সেদিন সমুদ্রে গিয়েছিল কিন্তু তারা সুরক্ষিত ভাবে ফিরে আসতে পারলেও মালেশ্বর, জয়কিষান ও শিবানী – এই তিনটি ট্রলারে থাকা মৎস্যজীবীরাই সমস্যায় পড়েন।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)