রাজস্থানের নিখোঁজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করে স্কুল বেল্ট দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ: পুলিশ

Six year old raped in Tonk: ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রচুর মানুষ একজোট হয়ে ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষোভ প্রকাশ করে।

তেলেঙ্গানা ধর্ষণের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের এক ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে খুনের (Crimes against children) অভিযোগ উঠল, তবে এবার ঘটনাস্থল রাজস্থান। সে রাজ্যের টংক জেলায় শনিবার হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যায় ওই স্কুলছাত্রী। পরে স্কুলের ইউনিফর্ম পরা অবস্থাতেই তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।  তাঁকে প্রথমে ধর্ষণ করা হয় (Six year old raped in Tonk) এবং তারপর ওই স্কুলছাত্রীর বেল্ট দিয়েই তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ (Rajasthan Police)। ওই নাবালিকার দেহটি তাঁর গ্রামের বাড়ি খেতাদীর কাছে এক শুনশান এলাকায় ঝোপের কাছে পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘটনাস্থলে মেলে মদের বোতল, স্ন্যাকস এবং রক্ত, জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার মেয়েটির স্কুলে একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ছিল এবং তারপরেই সে নিখোঁজ হয়ে যায়।

শনিবার বেলা তিনটে বেজে গেলেও ওই ছাত্রী স্কুল থেকে বাড়ি না পৌঁছনোয় তার সন্ধান শুরু করে পরিবার। মেয়েটির আত্মীয়দের বাড়িতে প্রথমে তাঁর খোঁজ চালানো হয়। এলাকার বিভিন্ন খামার বাড়িতেও তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু তারপরেও কোথাও খোঁজ মেলে না নাবালিকার। পরে রবিবার সকালে ওই ছাত্রীর স্কুল থেকে আধা কিলোমিটার দূরে একটি এলাকায় ঝোপের মধ্যে তাঁর রক্তাক্ত দেহটি পাওয়া যায়।

"ধর্ষণের আগে যুবতীকে জোর করে হুইস্কি খাইয়েছিল ওরা...": তেলেঙ্গানা প্রশাসন

পুলিশ এবং ফরেনসিক দল শিশুটির হত্যার তদন্ত শুরু করেছে। যদিও ওই নক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে ঘটনাস্থলে গিয়ে অনেক মানুষ একসঙ্গে হয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করে।

গ্রামে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা না থাকায় মৃত নাবালিকার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়।

পুলিশ সুপার আদর্শ সিধু জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্ত ধর্ষণ ও হত্যার দিকেই ইঙ্গিত করছে । "আমরা অভিযুক্তদের সন্ধানের তদন্ত শুরু করেছি । তাঁদের তল্লাশির জন্যে আমরা বিশেষ দলও গঠন করেছি"।

অভিনব শাস্তি, ৪ বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করতেই নগ্ন করে হাঁটাল জনতা

এর আগে তেলেঙ্গানায় এক পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় শিউরে ওঠে গোটা দেশ। ২৬ বছরের ওই যুবতীকে ধর্ষণ করে চার ধর্ষক। অঘটনের দিন সন্ধেয় একটি টোল প্লাজার সামনে স্কুটির টায়ার পাংচার হয়েছিল তাঁর। তখনই সেই টায়ার সারিয়ে দেওয়ার অজুহাতে যুবতীর কাছে এসেছিল মহম্মদ আরিফ, জলু শিভা, জলু নবীন ও চিন্তাকুন্তা চেন্নাকেসাভুলু ওই ৪ অভিযুক্ত। ঘড়িতে তখন রাত ৯.১৫। পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে গণধর্ষণ করে জ্যান্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয় ওই পশু চিকিৎসককে, জানা গেছে প্রাথমিক তদন্তে। নিজের দূরবস্থার কথা জানিয়ে ৯.২২-এ বোনকে শেষ ফোন করেছিলেন গণধর্ষিতা। তারপরেই তিনি চিরকালের জন্য স্তব্ধ হয়ে যান। ঘটনায় ক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশ জুড়ে। তার মধ্যেই ফের এই ঘটনা আরও একবার এ দেশে মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল।

দেখে নিন এই মুহূর্তে বাজার মাতাচ্ছে কোন গ্যাজেট? দেখুন ভিডিও: