This Article is From Apr 04, 2019

মানবিকতায় উজ্জ্বল! জমানো ১০ টাকা নিয়ে মুরগির প্রাণ বাঁচাতে হাসপাতালে ছোট্ট শিশু

ডেরেক হাসপাতাল থেকে কেঁদে ফোঁপাতে ফোঁপাতে বাড়ি ফিরে আসে। তারপর নিজের জমানো ১০০ টাকা নিয়ে আবার হাসপাতালে দৌড়ে যায়।

মানবিকতায় উজ্জ্বল! জমানো ১০ টাকা নিয়ে মুরগির প্রাণ বাঁচাতে হাসপাতালে ছোট্ট শিশু

হাসপাতালে ডেরেকের এই ছবিটি ভাইরাল

বাচ্চা বয়সে কুকুরকে লাথি মেরে, লেজে ফটকা ফাটিয়ে, পাখিকে গুলতি মেরে কত বাচ্চাই আনন্দ পায়। কিন্তু মিজোরামের একটি শিশুর মানবিকতা এবং সংবেদনশীলতা এই সকল উদাহরণের উর্ধ্বে দাঁড়িয়ে মানুষের মন জয় করেছে। ৬ বছর বয়সী সাইরাঙ্গের বাসিন্দা ডেরেক সি লালছানহিমা (Derek C Lalchhanhima) সাইকেল চালাতে গিয়ে একটি মুরগির বাচ্চাকে ধাক্কা মারে। অনুতপ্ত ডেরেক সঙ্গে সঙ্গে মুরগির বাচ্চাটিকে নিয়ে সোজা দৌড়ায় হাসপাতালে। পকেটে ১০ টাকা, হাসপাতালের সকলকে তাঁর কাতর আর্জি, বাঁচানো যায় না মুরগির বাচ্চাটিকে! পুরো ঘটনার ভিডিও অনলাইনে শেয়ার করেন সাঙ্গা। 

উর্দি পরে স্টেজে স্বপ্না চৌধুরীর গানে নাচ দিল্লির মহিলা পুলিশদের, দেখুন ভিডিও

তিনি বলেন, “ও বুঝতেই পারছিল না যে মুরগির বাচ্চাটা মারা গেছে এবং ও ওর বাবা-মাকে বারেবারে জোর করছিল যাতে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে মুরগির ছানাটিকে দেখানো হয়, তাহলেই ও বেঁচে যাবে।” ডেরেকের বাবা তখন তাঁকে নিজেকেই হাসপাতালে চলে যেতে বলেন, ১০ টাকা নিয়ে হাসপাতালে চলেও আসে ডেরেক। এই ছোট্ট শিশুর এমন নিরীহ মুখ এবং মানবিকতা বোধ দেখে একজন নার্স তাঁর ছবি তোলেন। সেই ছবিই এখন অনলাইনে ব্যাপকভাবে শেয়ার হচ্ছে।

সাঙ্গা আরও বলেন যে ডেরেক হাসপাতাল থেকে কেঁদে ফোঁপাতে ফোঁপাতে বাড়ি ফিরে আসে। তারপর নিজের জমানো ১০০ টাকা নিয়ে আবার হাসপাতালে দৌড়ে যায়, মুরগির বাচ্চাটাকে প্রাণে বাঁচানোর জন্য সবাইকে ওর চিকিৎসা করতে আর্জি জানায় ডেরেক।

 দুরন্ত ঘূর্ণি! মালয়েশিয়ার সমুদ্রে জলের টর্নেডোর বীভৎস সুন্দর ভিডিও ভাইরাল

অবশেষে ডেরেকের বাবা মা তাঁকে বোঝান যে, মুরগির বাচ্চাটি মারা গিয়েছে, প্রাণে বাঁচানো যাবে না কিছুতেই। ফেসবুকে ডেরেকের এমন সংবেদনশীলতা বহু বহু মানুষের হৃদয় জয় করেছে। বহু মানুষ প্রাণভরে আশীর্বাদ করেছেন ডেরেককে। তাঁর মনের এমন স্পর্শকাতরতা বজায় থাকুক চাইছেন সকলেই।

কেবল নেটিজেনরা নন, ছেলের এমন নরম মনের সাড়া পেয়ে ডেরেকের বাবা-মাও অবাক। সাঙ্গা এনডিটিভিকে বলেন যে, তাঁর বাবা ধীরজ ছেত্রি একজন পুলিশ কর্মী, বর্তমানে সাইরাঙ্গে কাজ করছেন তিনি। বাবাও নিজের ছেলের এই কাজ দেখে অবাক। বাবা জানিয়েছেন, “আমার ছেলেটা বরাবরই আর পাঁচটা বাচ্চার থেকে একটু আলাদা।”

Click for more trending news


.