Read in English
This Article is From Feb 29, 2020

রাষ্ট্রসংঘে সিএএ'র সমালোচনা, কেন্দ্রের হয়ে সওয়াল করলেন এমজে আকবর

রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদের বৈঠকে উঠল সিএএ এবং তাঁকে ঘিরে সংঘর্ষের প্রসঙ্গ। ৪৩তম এই বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন, ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাংসদরা

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

জেনেভার এক বিতর্কসভায় সিএএ নিয়ে কেন্দ্র সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করা হয়েছে।

Highlights

  • রাষ্ট্রসংঘে সিএএ সমালোচনা, পক্ষে সওয়াল করলেন এমজে আকবর
  • কাশ্মীর ও সিএএ'র জেরে ছড়িয়ে পড়া হিংসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ সংঘে
  • "মুসলিমরা, ভারতের অঙ্গ," দাবি আকবরের
নয়া দিল্লি :

রাষ্ট্রসংঘের (United Nations) মানবাধিকার পরিষদের বৈঠকে উঠল সিএএ (CAA) এবং তাঁকে ঘিরে সংঘর্ষের প্রসঙ্গ। ৪৩তম এই বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন, ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাংসদরা। সিএএ নিয়ে উত্তপ্ত ভারত। আর তার আঁচে উৎপীড়িত মুসলিমরা (Muslims)। এমন অভিযোগ রাষ্ট্রসংঘের কাছে করা হয়েছে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে শনিবার বিষয়টা তোলা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার দিল্লি হিংসার সমালোচনায় সরব হয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন সংঘের মহাসচিব। এরপর এদিন মানবাধিকার পরিষদে নিযুক্ত রাষ্ট্রসংঘের দূত, সিএএ ও কাশ্মীর প্রসঙ্গ উত্থাপন করে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সেই উদ্বেগের প্রেক্ষিতে বিজেপি সাংসদ এমজে আকবর (MJ Akbar) বলেছেন, ভারতীয় সংবিধানের মৌলিক পরিসর বহুত্ববাদ। আর সংবিধান প্রত্যেক নাগরিককে সমানাধিকার দিয়েছে। মুসলিমরাও ভারতের অংশ। যেভাবে অন্য ধর্মালম্বীরা ভারতের নাগরিক। কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরকে দুষে আকবর বলেন, "আপনি যখন বিরোধী শিবিরে থাকেন, তখন আপনার উদ্দেশ্য থাকে আজগুবি যুক্তি খাড়া করা। আর শশী থারুর বাস্তব থেকে বহু দূরে অবস্থান করছেন।" 

অফিসটাইমে দিল্লির রাজীব চক মেট্রো স্টেশনে "গোলি মারো..." স্লোগান! আটক ছয়!

মহাত্মা গান্ধিকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, "হিন্দু এবং মুসলিম একজনই। ভগবান তাঁদের তৈরি করেছেন এবং কেউ তাঁদের পৃথক করতে পারবে না।" এদিন এ বিষয়ে সরব হয়েছিল, পর্তুগিজ সাংসদ পাওলো কাসাকা, সাংবাদিক আতিকা আহমেদ এবং ইউরোপিয়ান সংসদের সাংসদ ফুলভিও মারতুসিলো। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে রাখা সংশোধনের পরিসর (অমুসলিমদের নাগরিকত্ব) নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তাঁরা।  

‘‘ধন্যবাদ, দ্রুত বিচার চাই'': দেশদ্রোহিতা মামলা নিয়ে NDTV-কে কা‌নহাইয়া কুমার

Advertisement

উত্তর-পূর্ব দিল্লির হিংসার ঘটনার নানা ভিডিও হোয়াটসঅ্যাপ ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে এমন অনেক ভিডিও, যেগুলি আদৌ এই হিংসার ভিডিও নয়। এই পরিস্থিতিতে দিল্লি সরকার কঠোর অবস্থান নিতে চলেছে এই ধরনের ভুয়ো ভিডিও প্রচার আটকাতে। শিগগিরি তারা একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করবে, যাতে এই ধরনের ভুয়ো ভিডিও সম্পর্কে অভিযোগ জানানো যাবে। কোনও এক আধিকারিক সমস্ত অভিযোগ যাচাই করে দেখবেন। তারপর প্রয়োজন মতো অভিযোগটি দিল্লি পুলিশকে জানানো হবে। দিল্লি সরকার জনগণকে বিদ্বেষমূলক ভিডিও শেয়ার না করার আবেদন করবে।

Advertisement