রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি স্মারকলিপি জমা দেন বিজেপি নেতারা।
কলকাতা: উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের (Hemtabad) দলীয় বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের (Debendra Nath Roy) মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে রাজ্যজুড়ে থানার সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করল বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের শাসনকালে রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসা এবং খুন বেড়ে চলেছে। তাঁর কথায়, “আমরা গণতান্ত্রিকভাবে লড়াই করে রাজ্যে পরিবর্তন আনতে চাইছি এবং সেটা ২০২১ এ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনেই সম্ভব হবে”। সোমবার উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদে বিন্দাল গ্রামে একটি বন্ধ দোকানের বারান্দা থেকে বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এদিন কলকাতার পাশাপাশি বিধাননগর সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি স্মারকলিপি জমা দেন বিজেপি নেতারা।
সিবিআই তদন্তের দাবিতে রাজ্যজুড়ে থানার সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করল বিজেপি
কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে স্মারকলিপি জমা দিতে লালবাজারে যান বিজেপির লোকসভার সাংসদ সৌমিত্র খান, তবে মূল ফটক বন্ধ থাকায় এক আধিকারিককে তিনি স্মারকলিপি জমা দেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার এ রাজ্যে “পুলিশ রাজ” কায়েম করেছে বলে অভিযোগ তুলে, বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু অভিযোগ করেন, আত্মহত্যা বলে দাবি করে বিধায়কের মৃত্যুর ঘটনায় প্রকৃত সত্য আড়াল করতে চাইছে রাজ্য সরকার।
বিজেপি মহিলা মোর্চার তরফে অগ্নিমিত্রা পালের অভিযোগ, “আত্মহত্যার তত্ত্বে অনেক ফাঁকফোকর রয়েছে, যেগুলি সামনে এসেছে পুলিশ ও প্রশাসনের দ্বারা”। রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, এটি খুনের ঘটনা, এবং অভিযোগ করেন, উত্তর দিনাজপুরের তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তারা।
হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়কের রহস্যমৃত্যু: সিআইডির হাতে গ্রেফতার ১
এদিন বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটে বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু, সব্যসাচী দত্ত, জয়প্রকাশ মজুমদারের মতো নেতারা।
দেবেন্দ্রনাথ রায়কে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করে, মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গে ১২ ঘণ্টার বনধ্ ডাকে বিজেপি। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানানো হয়, ফাঁসের কারণেই মৃত্যু হয়েছে দেবেন্দ্রনাথ রায়ের এবং অন্য কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
এদিকে, হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়কের রহস্যমৃত্যুতে একজনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। দেবেন্দ্রনাথ রায় মৃত্যু রহস্যে নিলয় সিনহাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রায়গঞ্জের একটি আদালত তাঁর ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেছে। সেই সুইসাইড নোটে মাহবুদ আলি নামে অপর একজনের নামোল্লেখ আছে। তাঁর সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)