পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে প্রচুর পুলিশ ও আরএএফ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ হেফাজতে থাকার সময় এক ব্যক্তির মৃত্যুকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল মালদায় (Malda)। ক্ষিপ্ত জনতা (Mob attack) পুলিশ ফাঁড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে সোমবার এক সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন। রবিবার গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে মিল্কি পুলিশ ফাঁড়িতে। চার পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। জেলা পুলিশ সুপারিটেন্ডেন্ট অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, ‘‘আইনুল খান (৫৫) পুরাতন ভগবানপুর এলাকার বাসিন্দা। তাঁকে ও আরও সাতজনকে এক জুয়ার ঠেক থেকে গ্রেফতার করা হয় রবিবার। পরে ফাঁড়িতে আইনুল অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে ফাঁড়ি থেকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকদের অনুমান ছিল ওই ব্যক্তি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁকে সেখান থেকে তাঁকে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু স্থানীয়রা বাধা দেন। তাঁদের দাবি, উনি আগেই মারা গিয়েছেন পুলিশের অত্যাচারে।'' প্রসঙ্গত, চিকিৎসকরা যে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেছিলেন তা ওখান থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
সিলিন্ডার ফেটে নিমেষে ধূলিস্যাৎ দোতলা বাড়ি! নিহত কমপক্ষে ১০, আটকে থাকার আশঙ্কা বহুজনের
আইনুলের মৃত্যুর পর তাঁর পরিবার ও স্থানীয় জনতা থানা ঘেরাও করে। তাদের দাবি ছিল, আইনুল পুলিশের হেফাজতে থাকাকালীনই মারা গিয়েছেন। মালদার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াটা ‘নাটক'। এরপর রাত ১১টায় আইনুলের মৃত্যুর পরে জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে আক্রমণ করে।
আহতদের অন্যতম সাব ইনস্পেকটর মাথায় চোট পেয়েছেন। তাঁর মাথায় চোট লেগেছে। মোট তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ক্ষিপ্ত জনতা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে পুলিশ আধিকারিকদের নিগ্রহ করে। অন্য অভিযুক্তরা এই সুযোগে পালিয়ে যায়। জনতা এরপর আগুন লাগিয়ে দেয় ফাঁড়িতে। এর ফলে বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
এই ঘটনায় আইনুল খানের মৃত্যুর পাশাপাশি চারজন পুলিশ কর্মীও আহত হন। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, ‘‘পুলিশ হানা চালিয়ে ১৫ জনকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পেরেছে। পুলিশের উপরে এমন আক্রমণ গ্রহণীয় নয়। তল্লাশি এখনও চলছে।''
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে প্রচুর পুলিশ ও আরএএফ মোতায়েন করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)