কেন্দ্রীয় পর্যটন কেন্দ্র প্রহ্লাদ প্যাটেল নিজে হুমায়ূনের কবর দেখতে যান।
হাইলাইটস
- দারা শিকোহর কবর খুঁজছে সরকার
- ঔরঙ্গজেবের ভাই ছিলেন দারা
- ফারসি ভাষায় গীতার অনুবাদ করেন দারা শিকোহ
নয়াদিল্লি: মোদি সরকারের (Modi Government) নয়া লক্ষ্য এখন ঔরঙ্গজেবের (Aurangzeb) ভাই তথা শাহজাহানের পুত্র দারা শিকোহর (Dara Shikoh) কবর খুঁজে বের করা! কিন্তু কেন? হুমায়ূনের কবরের পাশেই মোঘল শাসকদের প্রথম কবরস্থান। এখানে ১৪০ টি কবর রয়েছে তবে এর মধ্যে কোনটি দারা শিকোহর তা খুঁজে বের করা মুশকিল। দারা শিকোহ ভগবত গীতার ফারসি অনুবাদ করেন। তিনি ৫২ উপনিষদেরও অনুবাদ করেছেন। মোদি সরকারের নয়া উদ্যোগ দারা শিকোহর কবর খুঁজে বের করে তাঁর ইতিহাস বর্ণনা করে দারাকে হিন্দুস্তানের ‘সাচ্চা মুসলমান' প্রমাণ করা। এমন এক মুসলমান যিনি ভারতীয় সংস্কৃতি থেকে ভীষণ ভাবে প্রভাবিত।
কেন্দ্র সরকার ৭ সদস্যের এক কমিটি গড়েছে। এই কমিটি তিন মাসের মধ্যে দারা শিকোহর কবর অনুসন্ধান করবে। যদিও কাজটা মোটেই এত সহজ নয়। এখানে এমন কবরের সংখ্যাই বেশি যেখানে কোনও নাম লেখা নেই। শাহজাহাননামাতে লেখা আছে ঔরঙ্গজেবের কাছে হেরে যাওয়ার পরে দারা শিকোহর মাথা কেটে আগ্রায় পাঠানো হয়। দেহের বাকি অংশটা হুমায়ূনের কবরের আশেপাশেই কোথাও কবর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখানে বেশিরভাগ কবরেই কিচ্ছু লেখা নেই। এই সমস্ত কবরই মোঘল শাসকদের আত্মীয়দের। এর মধ্যে কোনটি দারা শিকোহর তা অনুসন্ধান করা সহজ নয়।
কাশী মহাকাল এক্সপ্রেসে শিবের জন্য বুক করা হল ৬৪ নম্বর আসন! ট্রেনেই নির্মিত শিবমন্দির
পদ্মশ্রী পুরাতত্ত্ববিদ কে কে মহাম্মাদ জানান যে, দারা শিকোহর কবরের সন্ধান করা একটু মুশকিলই। কিন্তু প্রায় ১৬৫২ সালের কাছাকাছি স্থাপত্য শৈলীর ভিত্তিতে একটি ছোট কবর চিহ্নিত হয়েছে। তবে কবরের গায়ে কিছুই লেখা নেই তাই এটাই সেই কবর কিনা বলা মুশকিল। দারা শিকোহর কবর অনুসন্ধানের দলটিতে রয়েছেব ডাঃ আরএস ভট্ট, কে. কে মহাম্মদ, ডাঃ বিআর মণি, ডাঃ কেএন দত্ত, ডাঃ বি.এম. পান্ডে, ডাঃ জামাল হাসান এবং অশ্বিনী আগরওয়াল। কেন্দ্রীয় পর্যটন কেন্দ্র প্রহ্লাদ প্যাটেল নিজে এর আগে হুমায়ূনের কবর দেখতে যান। তারপরেই দারা শিকোহর কবর অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে দ্রুত পদক্ষেপ করা হয়েছে।
১৬৫৯ সালের ৩০ অগাস্ট দারা শিকোহর মৃত্যু হয়। শাহজাহান নিজের চার পুত্রের মধ্যে দারা শিকোহকে খুব পছন্দ করতেন। দারা শিকোহ উদারবাদী চিন্তক এবং বড় মনের মানুষ ছিলেন বলেই শোনা যায়য়। শাহজাহানের মৃত্যুর পরে চার ভাইয়ের মধ্যে সিংহাসনের লড়াই শুরু হয়। তবে দারার কাছে ঔরঙ্গজেবের থেকেও বড় সেনাদল ছিল, কিন্তু দারা শিকোহর রণনীতি বেশ দুর্বল ছিল এবং বিশ্বস্ত মানুষের বিশ্বাসঘাতকতায় দারা হেরে যান এবং ঔরঙ্গজেব জিতে যান। দারাকে তার পুত্রদের সঙ্গেই বন্দি করা হয়। কিছু দিন পরে ঔরঙ্গজেবের এক সেনাপতি দারা শিকোহর গর্দান ধড় থেকে পৃথক করে তা আগ্রাতে ঔরঙ্গজেবের কাছে নিয়ে যান।