Read in English
This Article is From Apr 24, 2019

কেন হাফ হাতা জামা পরেন প্রধানমন্ত্রী? গরীব ছিলেন বলে কীভাবে জামা ইস্ত্রি করতেন মোদি?

মোদি আরও বলেন, “আমার মাঝে মাঝে নিজেকে খুব ছোটো মনে হত কারণ আমি খুব গরীব ছিলাম।"

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

কংগ্রেস এবং কংগ্রেস প্রধান রাহুল গান্ধী প্রায়ই দামী পোশাক পরার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Prime Minister Narendra Modi) বারে বারে আক্রমণের নিশানায় রেখেছেন। আজ নিজের পোশাক নিয়ে খোলাখুলি কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমারের (actor Akshay Kumar) সঙ্গে একটি খোলামেলা আড্ডায় তিনি বলেন, গরীব ছিলেন বলে মাঝে মাঝেই নিজেকে ছোটো মনে হত তাঁর, নিচু নজরে দেখতেন নিজেকেই। মোদির কথায়, দরিদ্র পরিবার থেকে শিশু হিসাবে নিজেকে সমাজে ছোটো মনে হত বলেই তিনি সবসময় সঠিকভাবে নিজের পোশাকের যত্ন নিতেন। নিজের সাজ পোশাক মোদির কাছে সর্বদাই খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়।

 অক্ষয়কে কী কী বললেন মোদী? পড়ুন দশটি পয়েন্ট

তিনি আরও জানিয়েছেন, কেন তিনি তাঁর ট্রেডমার্ক পোশাক হাফ হাতা কুর্তাই পরেন সবসময়! ৭ নম্বর লোক কল্যাণ মার্গে (7, Lok Kalyan Marg) নিজের বাড়িতে একটি আড্ডা ও আলাপচারিতা চলাকালীন অভিনেতা অক্ষয় কুমারের সঙ্গে নিজের ছোটোবেলার নানা কথা ভাগ করে নেন মোদি। সেই আড্ডাতেই মোদির ফ্যাশন সম্পর্কে প্রশ্ন করেন অক্ষয় কুমার। মোদি বলেন, “কঠোর প্রশাসকের ছবি ব্যতীতও আমার অন্য একটি চিত্র জনমানসে তৈরি হয়েছে, সেটার কারণ হল আমার পোশাক।” 

Advertisement

কেন নিজের মায়ের সঙ্গে থাকেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী?

ছোটবেলার কথা বলতে গিয়ে মোদি আরও বলেন, “আমি যখন খুবই ছোট ছিলাম... সেই তখন থেকেই আমি আমার নিজের কাপড় নিজে ধুতাম... আমার একটি ঝোলা ছিল এবং এতেই আমার বেশিরভাগ জিনিসপত্র ছিল। লম্বা হাতার জামা ভাঁজ করতে অনেকটা জায়গা নিয়ে নিত এবং লম্বা হাতার জামা কাচাও বেশ পরিশ্রমের। তাই আমি কী করতাম, লম্বা হাতার জামা কেটে ছোটো হাতা করে ফেলতাম।” মোদি আরও বলেন, “আমার মাঝে মাঝে নিজেকে খুব ছোটো মনে হত কারণ আমি খুব গরীব ছিলাম। তাই আমি সঠিকভাবে, উপযুক্ত পোশাক পরতাম। আমি একটা ঘটির মধ্যে গরম কয়লা রাখতাম, সেটা ঘষে ঘষে জামা ইস্ত্রি করতাম।" 

Advertisement

মমতা দিদি এখনও বছরে দু-একটা পাঞ্জাবি আর মিষ্টি পাঠান: অক্ষয় কুমারকে বললেন মোদী

শৈশবের দিনগুলোয় ফিরে গিয়ে মোদি জানান, তাঁর পায়ে পরার কোনও জুতোও ছিল না। সেসব অভাবের দিনের কথা স্মরণে নরেন্দ্র মোদি বলেন, “আমার মামা একবার ক্যানভাস জুতো নিয়ে এলেন। সেই সময়ের প্রেক্ষিতে কতই বা দাম হবে! ওই ৮ টাকা বা দশ টাকার মতো। জুতো তো সারা দিন স্কুলে নোংরা হয়ে যেত। তাই ক্লাসের পর আমি চকের টুকরো সব নিয়ে বাড়িতে আসতাম, জুতোয় চক বুলিয়ে সাদা করতাম যাতে পরের দিন সকালে জুতোগুলো পরিষ্কার থাকে।"

Advertisement

গতকালই রাজ্যে শেষ হয়েছে জাতীয় নির্বাচনের তৃতীয় দফার ভোট গ্রহণ। এর ঠিক পরের দিনই বলিউড তারকা অক্ষয় কুমারের সাথে প্রধানমন্ত্রীর এই আলাপচারিতা দেখানো হল। দেশে সপ্তম দফার ভোট শেষ হচ্ছে ১৯ মে।

Advertisement