This Article is From Apr 20, 2020

কুমিরের মুখ থেকে সন্তানকে ছিনিয়ে এনে মা জানালেন, কোন কায়দায় জব্দ হল কুমির

দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আক্রান্ত শিশুটিকে। মুখেও আঘাত ছিল তার। রক্তে ভেসে যাচ্ছিল ক্ষতস্থান। কিন্তু সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু হওয়ায় বিপন্মুক্ত সে।

কুমিরের মুখ থেকে সন্তানকে ছিনিয়ে এনে মা জানালেন, কোন কায়দায় জব্দ হল কুমির

বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে কুমিরের মুখ থেকে সন্তানকে ছিনিয়ে আনলেন এক তরুণী। (প্রতীকী)

নিজের সন্তানকে কুমিরের (Crocodile) মুখে রক্ষা করলেন সাহসিনী মা। জিম্বাবোয়ের (Zimbabwe) এই সাহসী মা-কে অভিনন্দন জানাচ্ছেন অনেকেই। ‘দ্য মিরর'-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, ওই মহিলার নাম মরিনা মুসিসিনিয়ানা। রুন্ডে নদীর পাড়ে নিজের দুই সন্তানকে বসিয়ে রেখে কাছেই মাছ ধরছিলেন তিনি। হঠাৎই বিপদের গন্ধ পান বছর তিরিশের মরিনা। কানে আসে বাচ্চাদের চিৎকার। এসে দেখেন, তাঁর তিন বছরের ছোট্ট ছেলে গিডিয়নের হাত কামড়ে ধরে টানছে কুমির!

‘দ্য গার্ডিয়ান' অনুসারে দ্রুত কুমিরের মুখোমুখি হন মরিনা এবং তাঁর হাতের আঙুল ঢুকিয়ে দেন কুমিরের নাকে। বেকায়দায় পড়ে কুমিরের গ্রাস আলগা হতেই অন্য হাতে বাচ্চাকে ছাড়িয়ে আনেন তিনি। যদিও ততক্ষণে কুমিরের কামড়ে ছোট্ট শিশুর হাতের দফারফা হয়ে গিয়েছে।

কুয়োয় বন্দি বাঘমামা, মুক্তি পেলেন কীভাবে?

দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আক্রান্ত শিশুটিকে। মুখেও আঘাত ছিল তার। রক্তে ভেসে যাচ্ছিল ক্ষতস্থান। কিন্তু সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু হওয়ায় বিপন্মুক্ত সে।

আর সবই সম্ভব হয়েছে তার সাহসিনী মায়ের কাছে। তিনি জানাচ্ছেন, ‘‘আমি ওর নাকে আঙুল ঢুকিয়ে দিয়েছিলাম। এই কায়দাটা আমি শিখেছিলাম বড়দের কাছে।''

"চল শহর দেখে আসি", লকডাউনে পথে পায়চারি করছে পেঙ্গুইনরা! দেখুন ভিডিও

তিনি জানাচ্ছেন, ‘‘যদি আপনি কুমিরের দম বন্ধ করে দিতে পারেন নাকে আঙুল ঢুকিয়ে, তাহলে সে শক্তি হারিয়ে ফেলে। আর আমি ঠিক সেটাই করেছিলাম। সেই সঙ্গে অন্য হাতে আমার ছেলেকে কুমিরটার চোয়ালের কবল থেকে বের করে আনি। এত কিছু করার পরেও আমার এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না সত্যিই আমি এমন কাজ করতে পেরেছি।''

জিম্বাবোয়ের রুন্ডে নদীতে কুমির ভর্তি। এরা দৈর্ঘ্যে ২০ ফুট পর্যন্ত হয়।

Click for more trending news


.