আতঙ্কের অন্য নাম হয়ে উঠেছে অনলাইন গেম মোমো চ্যালেঞ্জ। যত সময় যাচ্ছে ততই প্রকাশ্যে আসছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সাইবার বিশেষজ্ঞরা গেমটি কী করে তৈরি হল, সে ব্যাপারে খোঁজ খবর শুরু করেছেন। পুলিশ এবং অন্য তদন্তকারী সংস্থা নেপথ্য নরেশ-এর নাগাল মেতে মরিয়া। এর বাইরেও উঠে আসছে আরও কিছু তথ্য। তারই একটা হল মোমোর জাপান যোগ। জানা গিয়েছে মোমো চ্যালেঞ্জের ধারনা তৈরি হয়েছে জাপানি সাহিত্য বাল্লাদ অফ শিনিগামি থেকে। সাহিত্যিক কে- স্কে- হাসেগাওয়ার লেখা এই উপন্যাসের মুখ্য চরিত্র মোমো নামে একটি মেয়ে। শিনিগামি কথাটার মানে মৃত্যুর দেবতা। আশপাশে ঘোরাফেরা করা সমস্ত মানুষের যন্ত্রণা লাঘব করার চেষ্টা করে মোমো । এই মোমো খেলাটিও শেষমেশ নিজেকে শেষ করে দেওয়ার কথাই বলে। এর বাইরে আরও এক ভাবে জাপান যোগ প্রতিষ্ঠা করা যায়। মোমো চ্যালেঞ্জ ব্যাপারটা অনেক বেশি গা ছমছমে হয়েছে তার ছবির জন্য। সেই ছবি এঁকেছেন জাপানের শিল্পী মিদোরী হিয়োসি। তবে তাঁর দাবি এই খেলা বা পরবর্তী ঘটনাক্রম সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না।
এদিকে এই ঘটনার তদন্ত চালানো রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডির দাবি বাংলায় নিজের জাল বিস্তার করেনি মোমো। মোমোর খেলার আমন্ত্রণ জানিয়ে যে সমস্ত বার্তা হোয়াটস অ্যাপে এসেছে তার সবকটাই ভুয়ো। কেউ বা কারা অকারণ বিভ্রান্তি ও আতঙ্ক ছড়াতে এ ধরনের বার্তা পাঠাচ্ছে। হোয়াটস অ্যাপে যে কটি আমন্ত্রণ এসেছে তাতে কোনও লিঙ্ক নেই। মানে এমন কোনও ব্যবস্থা নেই যার মাধ্যমে সরাসরি খেলা শুরু করা যায়। পাশাপাশি মণিশ সারকি আর অদিতি গোয়েল নামে দুজনের আত্মহত্যার নেপথ্যেও মোমোর হাত নেই বলে দাবি সিআইডির।