নির্বাচনী বন্ড বিধি তৈরিতে আরবিআই আইন সংশোধন করা হয়েছিল
নয়াদিল্লি: নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bonds) নিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (Reserve Bank) সতর্কতাকে কেন্দ্র অবহেলা করেছে বলে সংবাদমাধ্যমের খবর হওয়ার পরেই, নরেন্দ্র মোদি সরকারের সামনে একাধিক প্রশ্ন রাখল কংগ্রেস। নির্বাচনী বন্ডের আইন, যারজন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আইন সংশোধন করা হয়, সেটি ২০১৭ অর্থ বিলের (Finance Bill 2017) অংশ ছিল, সেটি সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে এসেছে। ট্যুইটে কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা লেখেন, “আরটিআই জানিয়েছে, কীভাবে অজ্ঞাতপরিচয়ের দানের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে ‘নির্বাচনী বন্ড'। মোদি সরকার কি উত্তর দিতে পারবে: ১. কত হাজার কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করা হয়েছে? ২. বিজেপি কত হাজার কোটি হাজার কোটি টাকা পেয়েছে?
মহারাষ্ট্র নিয়ে আরও আলোচনা প্রয়োজন, সনিয়া গান্ধির সঙ্গে বৈঠকের পর বললেন শরদ পাওয়ার
হাফপোস্ট জানিয়েছে, নির্বাচনী বন্ড এবং আরবিআই আইনের সংযশোধনীতে আপত্তি জানিয়েছিল আরবিআই, যুক্তি দিয়েছিল যে, তা আর্থিক তছরূপকে উৎসাহ জোগাবে, ভারতীয় ব্যাঙ্ক নোটের অবনমন ঘটাবে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের যে মূল নীতি, তার পতনসাধন করবে।
তবে তাদের আপত্তি খারিজ করে দেয় সরকার। নির্বাচনী বন্ডের ঘোষণা করেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি, তার দুদিন এবং একমাস পর, অর্থবিল ২০১৭ পাশ হয়।
গত সপ্তাহে, সংশোধিত অর্থবিল ২০১৭ নিয়ে ট্রাইবুনালে ক্ষোভ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধানবিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চ, পাশাপাশি ট্রাইবুনালের সদস্যদের নিয়োগসহ তার প্রেক্ষিতে নতুন করে আইন তৈরি করার জন্য সরকারকে নির্দেশ দেয়। শীর্ষ আদালত আরও জানায়, ১৯টি বিলকে অর্থবিল হিসেবে ঘোষণা করা অধ্যক্ষের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল কিনা, তা ঠিক করবে বৃহত্তর সাংবিধানিক বেঞ্চ।
নির্বাচনী বন্ডের বৈধতা মেনে নিল সুপ্রিম কোর্ট
যদি সুপ্রিম কোর্ট তা খারিজ করে দেয়, যে ১৯টি বিল অর্থবিল হিসেবে সরকার পাশ করিয়েছে, সেগুলি আবার নতুন করে তৈরি করতে হবে।
আজকের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি দেখতে ক্লিক করুন:
কয়েকটি ট্যুইটে এই নিয়ে মন্তব্য করেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি ভঢ়রা। ট্যুইটে তিনি লেখেন, “আরবিআইকে এড়িয়ে এবং কালো টাকা বিজেপির ভাঁড়ারে আনতে, জাতীয় নিরাপত্তাকে খারিজ করে নির্বাচনী বন্ড পাশ করানো হয়েছে। অর্থাৎ, বিজেপি যেখানে কালো ধন দূরীকরণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি, তা দিয়েই নিজেদের ভাঁড়ার ভরাতে ব্যস্ত তারা! ভারতবাসীর সঙ্গে লজ্জাজনক বিশ্বাসঘাতকতা”।