Monsoon update: উত্তরবঙ্গে গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে
হাইলাইটস
- প্রবল বৃষ্টিতে নাজেহাল উত্তরবঙ্গ, তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি
- বৃহস্পতি এবং শুক্রবারও উত্তরের জেলাগুলোতে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা
- বজ্রবিদ্যুৎ সব বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গেও
একে করোনা ভাইরাসের দাপটে নাজেহাল রাজ্যের মানুষ, তার উপর আবার আজ (বৃহস্পতিবার) উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টিপাতের (Monsoon 2020 update) সতর্কতা জারি করল আবহাওয়া দফতর। পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গেও বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস (West Bengal Weather Forecast) দিল হাওয়া অফিস। তবে শুক্রবার সকালে দক্ষিণবঙ্গের পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে গত কয়েকদিন ধরেই একটানা বৃষ্টি চলছে উত্তরবঙ্গে, তার ফলে সেখানে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের বহু নিচু এলাকা বৃষ্টির জলে ভেসে গেছে। ভারতের আবহাওয়া দফতরের (আইএমডি) পূর্বাভাস ( Weather Forecast) অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে মাঝারি বৃষ্টি এবং কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এই প্রথম ভারতে দৈনিক করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ৫০,০০০ ছাড়িয়ে গেল
মঙ্গলবার ও বুধবার দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলা সহ কলকাতাতে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। দমদমে ৭৯ মিমি এবং দক্ষিণ কলকাতার আলিপুরে ৩৯ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায় প্রায় ৮৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
অভিভাবকহীন প্রদেশ কংগ্রেস, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত সোমেন মিত্র
জানা গেছে, সক্রিয় মৌসুমী অক্ষরেখা ও ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবেই উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে এই বৃষ্টিপাত হবে। প্রবল বৃষ্টি হবে আলিপুরদুয়ার ও কালিম্পং জেলায়। এই দুই জেলার পাশাপাশি বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারেও ৷ ৭০ থেকে ১০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারে ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ার আশঙ্কা। ৭০ থেকে ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারে। শুক্রবারেও দার্জিলিং শহরের পাশাপাশি পার্বত্য অঞ্চলের ৫ জেলাতেই প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা। তবে শনিবার থেকে বৃষ্টি কিছুটা কমবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে, জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
এদিকে অসম ও বিহারে গত কয়েকদিন অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে সেখানকার বন্যা পরিস্থিতি আরও মারাত্মক হয়েছে। অসম সরকারের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, সেখানকার জোড়হাট, তেজপুর, গোয়ালপাড়া, ধুবড়ি, ধানসিরিয়ান্দ এবং গোলাঘাটে ব্রহ্মপুত্রের জলস্তর বিপদসীমার উপর দিয়ে বয়ে চলেছে। ওই রাজ্যে বন্যার ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৪ এ।
এদিকে বিহারের পরিস্থিতিও মারাত্মক। ওই রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মতে, রাজ্যের ১২ টি জেলায় কমপক্ষে ২৯,৬২,৬৫৩ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বুধবারও নতুন করে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিহারে অস্থায়ী সরকারি আশ্রয়ে ১২,৮০০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।