Read in English
This Article is From Jun 25, 2018

ক্যালিফোর্নিয়ার 'হাউস অফ হররস'-এর অদ্ভুত সব খবর জেনে নিন

সে জানায় তার মা তাকে ফোনে জাস্টিন বিবারের ভিডিও দেখার সময় ধরে ফেলে গলার টুঁটি টিপে ধরেছিল

Advertisement
ওয়ার্ল্ড (c) 2018 The Washington Post

ডেভিড এবং লুইস টারপিন বহু বছর ধরে তাদের সন্তানদের ওপর অত্যাচার করে

সূর্যোদয়ের ঠিক আগেই 17 বছরের এক কিশোর জানলা দিয়ে পালিয়ে যায়- তার পালিয়ে যাওয়ার প্ল্যান করতেই প্রায় দুই বছর সময় লেগেছিল। সে যে ঘর থেকে পালায় সেখানে তার আরও 12 জন ভাই বোনকে শাস্তি স্বরূপ বিছানার সঙ্গে চেন দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল। ঘরে খেলনা এবং খাবার থাকলেও সেগুলোয় তাঁদের কোনও অধিকার ছিল না।  

ওই দিন গত 14ই জানুয়ারি সে একটা ডিঅ্যাক্টিভেট করা সেলফোন খুঁজে পায় যেটা তখনও 911 তে যোগাযোগ করতে পারছিল, সে জানলা দিয়ে কোনও রকমে পালিয়ে এসে ফোন করে সাদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া পুলিশ আধিকারিকদের সমস্ত ঘটনা জানায় এবং “হাউস অফ হররস”-এ ডেকে আনে।

“আমি আপনাদের সকলকে ডাকতে চাইছিলাম যাতে আপনারা সকলে আমার বোনদের সাহায্য করতে পারেন”, সেই টিনেজার ফোনে একথা জানায়। তার গলার স্বর ছিল শিশুদের মতো অথচ হাই-পিচড, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের রিপোর্টে জানা যায়।

Advertisement
বৃহস্পতিবার এক রিভারসাইড কান্ট্রি জাজ তার মা বাবা ডেভিড টারপিন, 56 এবং লুইস টারপিন, 50 কে তাঁদের 2-29 বছর বয়সী সন্তানদের বহু বছর ধরে অত্যাচার করার অপরাধে শাস্তি ঘোষণা করে।

তাদের সন্তানরা ছিল অপুষ্ট, প্রায়ই ওই দম্পতি তাদের মারধোর করত। তাদের প্রায়ই দড়ি এবং চেন দিয়ে খাটের সঙ্গে বেঁধে রাখা হত। বছরে একবারের বেশী তারা স্নান করতে পারত না। হাতের কব্জির উপরের অংশ ধুতে পারত না, “জল নিয়ে খেলার অপরাধে” তাদের চেন দিয়ে বেঁধে রাখা হত।

Advertisement
জানা গেছে ওই দম্পতির  22 বছরের ছেলে একবার নিজের বাধন মুক্ত করে ফেলায় তাকে শাস্তি হিসাবে আরও সাড়ে ছয় বছর আটকে রাখা হয়েছিল।



Advertisement
জানা গেছে ওই ভাই বোনেরা “দা বাইবেল ডেজ” এর মতোই মা বাবাকে ‘ফাদার’ ‘মাদার’ বলে ডাকে। তাদের মধ্যে এক কিশোরী তার বাবার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছে।  

সে জানায় তার মা তাকে ফোনে জাস্টিন বিবারের ভিডিও দেখার সময় ধরে ফেলে গলার টুঁটি টিপে ধরেছিল।

Advertisement
তাদের মা বাবা তাদের দেখাশোনা করত না, খেতে পর্যন্ত দিত না। ফলে তারা সকলেই অপুষ্ট এবং তাদের দেহে একাধিক ক্ষত দেখা গেছে।

বহু বছর ধরেই তাদের ওপর এই অত্যাচার চলত।

Advertisement
তাদের মা বাবারা প্রচুর খাবার, খেলনা কিনে আনত। খেলনা গুলো সবই নতুন অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে। আর খাবার গুলো ওইভাবেই জমতে জমতে নষ্ট হয়ে গেছে।

তারা বাইরের জগত সম্পর্কে কিছুই জানেনা। পুলিশ কী? এটাও তারা জানেনা। ডাক্তার কী? কিম্বা ডেন্টিস্ট কী? এই বিষয়েও তাদের কোনও ধারণা নেই।

তাদের ঘরের বাইরে বের হতে দেওয়া হত না।

ট্রারপিন দম্পতির প্রত্যেকের $12 মিলিয়ন জরিমানা এবং যাবজ্জীবন কারাদন্ড ঘোষণা করা হয়েছে।


 

 



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)
Advertisement